শিল্পী ফরিদা পারভীনের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান খালেদার
Published: 11th, July 2025 GMT
খ্যাতিমান লোকসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসন রাজধানীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফরিদা পারভীনের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি জানান, বিএনপি প্রধান বুধবার (৯ জুলাই) রাতে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে প্রবীণ শিল্পীর স্বাস্থ্যের খবর জানতে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন।
শায়রুল কবির বলেন, ‘তিনি (খালেদা) সরকারের কাছে এই গুণী গায়িকার জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন অসুস্থ প্রখ্যাত গায়িকা ফরিদা পারভীনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন বলেও জানান শায়রুল কবির।
লালন সংগীত এবং বাংলাদেশের লোকসংগীতের প্রতি আজীবন নিবেদিত থাকার জন্য ফরিদা পারভীন সর্বজনীনভাবে প্রশংসিত।
৭০ বছর বয়সী এই গায়িকা ৫ জুলাই থেকে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
একটি দল ভাবছে, চাঁদাবাজির স্বাধীনতা পেয়েছে তারা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা জনগণের স্বাধীনতা চেয়েছি; কিন্তু একটি দল মনে করছে তারা লুটপাট, দখলদারিত্ব আর চাঁদাবাজির স্বাধীনতা পেয়েছে। এক সময় ব্যবসায়ীরা রাজনীতির ছত্রছায়ায় মাফিয়ায় পরিণত হয়েছিল। এখন সেই মাফিয়া চক্রকেই আবার সামনে আনা হচ্ছে। আমরা এই দখলদার ও দুর্নীতিবাজ রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।
‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র ১১তম দিনে গতকাল শুক্রবার রাতে খুলনার শিববাড়ী মোড়ে পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। সুন্দরবনের গুরুত্ব তুলে ধরে নাহিদ বলেন, সুন্দরবন আমাদের প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে সব সময় রক্ষা করছে। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদের রক্ষা করেছে। সুন্দরবনকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।
ছাত্র-জনতা ও শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যায় ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সবাইকে রাজপথে থাকতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের পরও জাতীয় নাগরিক পার্টি মাঠে রয়েছে, আগামীতেও থাকবে। ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে এক সময় যেমনি রাজপথে নেমেছিল জনগণ, তেমনি এখনও প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রয়োজনে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আবারও রাজপথে নামব।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, এখনও প্রকাশ্যে মানুষ খুন হচ্ছে। এই কি সেই জুলাই, যার স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম?
দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ব্যবসায়ীরা আগে শেখ হাসিনার সিরিয়াল ধরত, এখন ধরছে লন্ডনের সিরিয়াল। বিএনপি সেই ব্যবসায়ীদের থেঁতলে দিয়েছে। মানুষ আর এই ধোঁকাবাজি মানবে না।
এর আগে বিকেলে যশোর ঈদগাহ মোড়ে পথসভায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, একটি রাজনৈতিক দল দাবি করে, তাদের নাকি কোটি কোটি মানুষের দল। এই কোটি কোটি মানুষ আমাদের দেখাবেন না। আমরা ফ্যাসিবাদের আমলে দেখেছি কত মানুষ ছিল আপনাদের। সেই মানুষেরা কত আন্দোলন গড়ে তুলেছিল! আমাদের ডাকে আবাবিল পাখির মতো সব মানুষ রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছিল। আমাদের কোটি মানুষ দেখাবেন না, ওসব আমরা দেখেছি। ইনসাফ, ন্যায় থাকলে একজন মানুষও লাখো মানুষের সমান হয়ে উঠতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে চাই। বিচার আর সংস্কার ছাড়া বাংলার জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না। যারা বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায়, তারাই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রমুখ।
আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে প্রত্যেকবার আন্দোলন হয়, জীবন দেয় ছাত্ররা, রক্ত দেয় ছাত্ররা আর কিছু রাজনৈতিক দল ফায়দা লোটে। এসব রাজনৈতিক দল ভেবেছিল, আন্দোলনের পর আমরা ঘরে ফিরে যাব। কিন্তু বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, বাংলাদেশকে যে সংস্কার করার স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেটা না করে আমরা ঘরে ফিরব না।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলি, আর মন খারাপ করে একটি দল। আমরা নির্বাচন কমিশনের দ্বিচারিতার কথা বলি; কিন্তু মন খারাপ করে একটি দল। আমরা
সংস্কারের পক্ষে কথা বললে গোস্সা করে একটি দল। যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী দলে আছেন তারা গোস্সা হবেন না।
এর আগে দুপুরে যশোর শহরের একটি হোটেলে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে এনসিপি যশোর জেলা শাখা। সভায় বক্তব্য দেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রমুখ। সভায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ চার পরিবারের সদস্য ও আহত ১৫ জন অংশ নেন।