নড়াইলে কৃষকের ধান কেটে দিলো জামায়াতের নেতাকর্মীরা
Published: 3rd, May 2025 GMT
নড়াইলে দরিদ্র অসহায় কৃষকদের জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২ মে) বিকালে সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের চারজন অসহায় দরিদ্র কৃষকের জমির ধান কেটে দিয়েছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহাবাদ ইউনিয়নের জুড়ালিয়া গ্রামের অসুস্থ্য কৃষক এলাহী হোসেনের ৩৩ শতক ও আব্দুল আলীম মিয়ার ৩৯ শতক, মহাজন গ্রামের রিজাক শেখের ১৮ শতক এবং বিষ্ণপুর গ্রামের দিপক বিশ্বাসের জমির ধান কেটে দেওয়া হয়।
এসময় মাঠে উপস্থিত ছিলেন, শাহাবাদ ইউনিয়ন জামায়াতের আমির হাসান আলী,শাহাবাদ ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, ৬নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি আমিনুর বিশ্বাস, ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে শাহাবাদ ইউনিয়ন জামায়াতের আমির হাসান আলী বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে ঝড়সহ শিলাবৃষ্টি হয়। এত কৃষকের পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আবারও যেকোনো সময় ঝড়সহ শিলাবৃষ্টিতে দরিদ্র কৃষকের ধানের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য আআমাদের নেতাকর্মীরা দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু ও সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সারের নির্দেশে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ইউনিয়নের অসুস্থ, দরিদ্র-অসহায় কৃষক যাদের শ্রমিক দিয়ে জমির ধান কেটে ঘরে তোলা সম্ভব নয়। আমাদের সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন।”
ঢাকা/শরিফুল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ম য় ত র ন ত কর ম র দর দ র
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)