খুলনা মহানগর মহিলা দলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
Published: 3rd, May 2025 GMT
খুলনা মহানগর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (৩ মে) কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অতিসত্বর নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
খাল খনন কর্মসূচি বিএনপির রাজনীতির অন্যতম পিলার: খসরু
সাকিব-মাশরাফির মতো ক্রিকেটার তৈরিতে অবদান ছিল কোকোর: টুকু
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২ মে) বিকেলে খুলনা নগরীর কেডি ঘোষ রোডের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে খুলনা মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দা আরিফা আশরাফি চুমকিকে মারধর করে প্রতিপক্ষ গ্রুপের নারী কর্মীরা। হামলাকারীরা মহিলা দলের খুলনা মহানগর সভানেত্রী আজিজা খানম এলিজার অনুসারী বলে চুমকি অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় তিনি খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে অভিযোগ করেন।
শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কমিটি খুলনা মহানগর মহিলা দলের ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি বিলুপ্তির কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, “মারপিটের অভিযোগের সত্যতা পেয়েই কেন্দ্রীয় কমিটি খুলনা মহানগর মহিলা দলের কমিটি বিলুপ্ত করেছে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ দল র ক ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
মাওলানা রইসের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে হরতালের হুশিয়ারি
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সাবেক ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন কাদেরীকে মব সৃষ্টি করে যারা হত্যা করেছে তদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে হরতালে পালনের হুশিয়ারি দিয়েছেন সুন্নিরা। একই সঙ্গে রোববার ‘মার্চ টু গাজীপুর’ সফল করার আহ্বান জানানো হয়।
শনিবার চট্টগ্রামের লালদীঘি চত্বরে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআতের উদ্যোগে সমাবেশে অধ্যক্ষ মুফতি অছিয়র রহমান আলকাদেরী সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- শায়খুল হাদিস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী, পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর, পীর অধ্যক্ষ আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মুফতি আবুল কাশেম ফজলুল হক, মুহাদ্দিস আল্লামা আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী, অ্যাডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আমিরী, আল্লামা শাহ নূর মোহাম্মদ আলকাদেরী, আল্লামা আনিসুজ্জামান আলকাদেরী, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, এইচ এম মুজিবুল হক শাক্কুর, অধ্যাপক জালাল উদ্দীন আজহারী, ফজলুল করিম তালুকদার, মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন তৈয়্যবী, অধ্যাপক সৈয়দ হাফেজ আহমদ, অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দীন, অধ্যক্ষ ইব্রাহিম আখতারী প্রমুখ।
সভায় আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী বলেন, ‘বৈষম্য ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্তরায়। এত বছরেও শহীদ আল্লামা নুরুল ফারুকী হত্যার বিচারের কোনো অগ্রগতি হয়নি। এবার গাজীপুরে মসজিদের ইমাম মাওলানা রইস উদ্দিনকে মিথ্যা অপবাদে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধ ও মব সৃষ্টিকারীদের শাস্তির বিকল্প নেই। অথচ, পুলিশ-প্রশাসন মামলা পর্যন্ত নেয়নি। পুলিশ কার ইন্ধনে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করছে আমরা জানি না। খুনিদের গ্রেপ্তারে গড়িমসি করলে পরবর্তীতে যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশ-প্রশাসন দায়ী থাকবে। খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা হরতালের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
সভায় বক্তারা বলেন, ‘আমরা রইস হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলন করছি। অন্যদিকে সরকার রাখাইনে মানবিক করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ মানবিক করিডোরের মাধ্যমে দেশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। অবিলম্বে করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। একইভাবে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলাম বিরোধী সুপারিশ আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’