রাজশাহীতে বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ
Published: 3rd, May 2025 GMT
রাজশাহীতে বিএনপির বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, রাজশাহীর ব্যানারে শনিবার (৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় নগরের বাটার মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টের জলিল বিশ্বাসের মার্কেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
‘দখলদার, চাঁদাবাজ, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূতপূর্ব আওয়ামী লীগারদের সমন্বয়ে গঠিত মহানগর, থানা, ওয়ার্ড কমিটি বাতিল, নিয়মবহির্ভূত শোকজ ও বহিষ্কার এবং মহানগর যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম অহ্বায়ক রুহুল আমিন বাবলুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর করা আসামিদের দল থেকে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে’ এই বিক্ষোভ ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচিতে রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইটসহ বিভিন্ন থানা বিএনপির সাবেক সভাপতিরা অংশ নেন। সমাবেশে তারা বলেন, ‘‘মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটি বিতর্কিতদের নিয়ে থানা বিএনপির কমিটি গঠন করেছে।’’
আরো পড়ুন:
জনগণের অনুমতি ছাড়া করিডোর নয়: টুকু
খুলনা মহানগর মহিলা দলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
তাদের অভিযোগ, নগরের রাজপাড়া থানা বিএনপির নেতাদের মদদে গত ২৩ জানুয়ারি দিবাগত রাতে মহানগর যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন বাবলুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মহানগর বিএনপি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।
জানতে চাইলে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা বলেন, ‘‘যারা কর্মসূচি পালন করেছেন, তারা বিএনপির কে? তারা কখনো খোলা আকাশের নিচে কমিটি করেছেন? কোনোদিনই করেননি। তারা কমিটি করতেন গোপনে। আমরা খোলা আকাশের নিচে স্বচ্ছ ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি করেছি। তাদের দাবি অনুযায়ী কমিটি বাতিলের কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’’
ঢাকা/কেয়া/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র ব
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)