সময়ের ফোল্ডেবল স্মার্টফোনে স্যামসাং ও মটোরোলা ছাড়াও বেশ কিছু সংস্থা ফোল্ডেবল স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে। ওই সব ফোনে আরও দ্রুতগতি ও দক্ষতা (পারফরম্যান্স) জুড়েছে অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সংস্করণে। ফলে ডিসপ্লে কোয়ালিটির মান বাড়বে। অ্যান্ড্রয়েডের নতুন আপডেটে ফোল্ডেবল স্মার্টফোনে দৃশ্যমান হয়েছে নতুন টাস্কবার।
ক্যামেরার ব্রাইটনেস বাড়ানো, ফ্ল্যাশলাইট কন্ট্রোল, লো লাইট ক্যামেরা ঘরানা আরও ভালো কাস্টমাইজ করা যাবে এখন। চলতি অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণের অপারেটিং সিস্টেমের সব স্মার্টফোনে ক্যামেরার মান সুদক্ষ আর মানোন্নত হয়েছে।
শুধু একবার ট্যাপ করলেই স্ক্রিনের নির্দিষ্ট বা চিহ্নিত অংশ অনায়াসে শেয়ার করা যাবে। আগের মতো পুরো স্ক্রিন শেয়ার করার বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
সুনির্দিষ্ট অ্যাপ থেকে থেমে থেমেই নোটিফিকেশন আসতে থাকলে তা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে অ্যান্ড্রয়েড-১৫-এর সবশেষ আপডেটে সেই অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশনের সংখ্যা তুলনামূলক অনেকাংশে কমে আসবে।
ব্যাংকে বা আর্থিক ব্যবস্থায় ওটিপি হোক– এমন কোনো নোটিফিকেশন বা মেসেজ যেখানে ব্যক্তিগত তথ্য থাকবে, তা স্বয়ংক্রিয় (অটোমেটিক) পদ্ধতিতে গোপন করবে নতুন অ্যান্ড্রয়েড।
সবশেষ বা আগের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণে ভলিউম নিয়ন্ত্রণে কিছুটা বিপত্তি ছিল। ভক্তদের আরও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে আপডেট সংস্করণে ভলিউম নিয়ন্ত্রণে বাড়তি কিছু সুবিধা মিলবে। স্মার্টফোনে বা ডিভাইসে একাধিক ব্লুটুথ সংযোগ যারা ব্যবহার করেন, তাদের বাড়তি সুবিধা দিতে ব্লুটুথ ডায়ালগ বক্স ডেভেলপ করা হয়েছে। ব্লুটুথ অপশনে ট্যাপ করার পরই টগেল খুলে যাবে। তাতে সাম্প্রতিক পেয়ারড বা সংযুক্ত (কানেক্টেড) ডিভাইস দৃশ্যমান হবে। ওই অংশ থেকে গ্রাহক ইচ্ছামতো ডিভাইসে সহজেই সুইচ করার সুবিধা নিতে পারবেন।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স স করণ

এছাড়াও পড়ুন:

১৫ মের মধ্যে শেষ হবে ঐকমত্য কমিশন-রাজনৈতিক দলের প্রাথমিক আলোচনা: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, আগামী ১৫ মের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রোববার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ১২-দলীয় জোটের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে আলী রীয়াজ এ কথা বলেন। ১২-দলীয় ১১ নেতা এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে আলী রীয়াজ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য তৈরির দায়িত্ব শুধু জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একার নয়। আপনারা যাঁরা সংগ্রামে আছেন, আপনারা যাঁরা আজ আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন, আপনারা আপনাদের সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলুন, অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে কথা বলুন; কী করে আমরা এক জায়গায় আসতে পারি।’

ঐকমত্যে আসার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার আহ্বান জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে এক জায়গায় আসতে হবে। আমরা সব বিষয়ে একমত হতে পারব না, কিন্তু রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক জায়গায় আমাদের একমত হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’

আলী রীয়াজ বলেন, ‘শুধুমাত্র এই টেবিলে বসে, এখানে আলোচনা করে আমরা জাতীয় ঐকমত্যের চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছতে পারব, এটা আমরা মনে করি না।’

চলমান আলোচনার সময়সীমার কথা জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ১৫ মের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ করে ঐকমত্যের বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু পরিকল্পনা রয়েছে। যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হবে, সেগুলোর ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠক উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার ও মোহাম্মদ মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। ১২-দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ