ভুয়া সাংবাদিকের প্রতারণায় নাকাল কালীগঞ্জবাসী
Published: 4th, May 2025 GMT
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় সম্প্রতি কিছু স্বঘোষিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ভুঁইফোড় সংগঠনের ব্যানারে চলা নামসর্বস্ব অনলাইন ও আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার তথাকথিত সাংবাদিকরা স্থানীয় ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে চাঁদাবাজি ও মানহানির হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, এসব ভুয়া সাংবাদিকদের অনেকেই মূলত মোটরসাইকেল মেকার, মোবাইল ফোন মেরামতকারী, ভেজাল ওষুধ বিক্রেতা কিংবা হোটেল ব্যবসায়ী। তারা হঠাৎ করেই হাতে মাইক্রোফোন, গলায় আইডি কার্ড, আর ফোনে পত্রিকার লোগো লাগিয়ে সাংবাদিক সেজে বিভিন্ন এলাকায় ‘কভারেজ’ বা ‘রিপোর্টিং’-এর নামে তদবির ও অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেন।
এদের অধিকাংশের নেই কোনো বৈধ মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ, নেই সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ কিংবা অনুমোদিত প্রেস কার্ড। অথচ তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন এবং প্রশাসন কিংবা পুলিশকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
স্থানীয় একাধিক মূলধারার সাংবাদিক বলেন, “এইসব ভুয়া সাংবাদিকদের জন্য প্রকৃত সাংবাদিকরা বিব্রত ও ক্ষুব্ধ। সাধারণ মানুষ এখন প্রকৃত সাংবাদিকদের প্রতিও সন্দেহের চোখে দেখছেন।”
তারা আরও জানান, ২০২৩ সালের জুনে পাঁচজন কথিত সাংবাদিক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর কার্যালয়ে এসে নিজেদের বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধি দাবি করে আর্থিক সুবিধা চান। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, তারা কেউই প্রকৃত সাংবাদিক নন। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জেল ও জরিমানা করেন।
সূত্র মতে, কিছু ভুঁইফোড় সংগঠনের সদস্যরাও নিজেদের বড় সাংবাদিক পরিচয়ে বিচার-সালিশের নামে টাকা-পয়সা ও জমি দাবি করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছেন। এমনকি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায় করার অভিযোগও রয়েছে। এদের কেউ কেউ মাদক কারবারি ও কৃষিজমি দখলকারীদের পক্ষেও তদবির করছেন বলে জানা গেছে।
সচেতন মহল জানান, ভুয়া সাংবাদিক চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন, যাতে প্রকৃত সাংবাদিকতা সুরক্ষিত থাকে এবং সাধারণ মানুষ হয়রানি থেকে রক্ষা পান।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ বলেন, “আমরা ইতোমধ্যেই কিছু ভুয়া সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে সরাসরি প্রশাসনকে জানাতে হবে। সাংবাদিকতা একটি সম্মানজনক পেশার অপব্যবহার বরদাস্ত করা হবে না।”
ঢাকা/রফিক/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়১. বেসিক কম্পিউটার,
২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,
৩. ইন্টারনেট,
৪. গ্রাফিক ডিজাইন,
৫. ফ্রিল্যান্সিং,
৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,
২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,
৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,
৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,
৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে১. ঢাকা,
২. চট্টগ্রাম,
৩. রাজশাহী,
৪. খুলনা,
৫. বরিশাল,
৬. সিলেট,
৭. দিনাজপুর,
৮. গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,
৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,
৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন ফিমনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে