ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় মেয়ের জামাই মনির হোসেনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (৪ মে) বিকেলে পিবিআই কার্যালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে, গত রাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পিবিআই ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার মো.

রকিবুল আক্তার বলেন, ‘‘পারিবারিক বিরোধের জেরে মনির তার স্ত্রী রুনা ও শাশুড়ি ফজিলা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে পালিয়ে যান। পরে শাশুড়ি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের আরেক মেয়ে মুক্তাগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পিবিআই ময়মনসিংহের একটি দল তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা থেকে আসামি মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি সেখানে পরিচয় গোপন করে আত্মগোপনে ছিলেন।’’

আরো পড়ুন:

চুরির অভিযোগে দুই কিশোরের মাকে ‘নাকে খত’ দেওয়ালেন বিএনপি নেতা

শার্শায় ১০ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক

তিনি আরো বলেন, ‘‘মনির হোসেন হত্যার দায় স্বীকার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এ হত্যাকাণ্ডে আর কারো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

ঢাকা/মিলন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহের ‘আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল’ কাগজে-কলমেই সংরক্ষিত, বাস্তব চিত্র করুণ

ময়মনসিংহ নগরের ঐতিহাসিক স্থাপনার একটি ‘আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল’। স্থানীয়ভাবে এটা ‘লোহার কুঠি’ নামে পরিচিত। ময়মনসিংহ জেলা প্রতিষ্ঠার শতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৮৮৯ সালে প্রাসাদটি নির্মাণ করা হয়। ময়মনসিংহ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৮৭ সালের ১ মে। প্রাসাদটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৪৫ হাজার টাকা।

প্রাসাদটি নির্মাণ করেছিলেন তৎকালীন জমিদার মহারাজা সুকান্ত সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী। তৎকালীন ভারত সম্রাট সপ্তম অ্যাডওয়ার্ডের স্ত্রী আলেকজান্দ্রার নামানুসারে এর নামকরণ হয় ‘আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল’। ভবন নির্মাণে লোহার ব্যবহার থাকায় স্থানীয়ভাবে এটি ‘লোহার কুঠি’ নামে পরিচিতি পায়। বর্তমানে প্রাসাদটি ময়মনসিংহ শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের গ্রন্থাগার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ১৩৬ বছরের পুরোনো ভবনটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের ৮ মার্চ এটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সংরক্ষিত পুরাকীর্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। ময়মনসিংহে তালিকাভুক্ত ১১টি পুরাকীর্তির একটি এটি। তবে এখনো এটি অধিদপ্তরের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, সেখানে সংরক্ষিত পুরাকীর্তির কোনো সাইনবোর্ড নেই। নিচতলায় গ্রন্থাগার চালু থাকলেও দ্বিতীয় তলার লোহার সিঁড়িগুলো কাঁটাতারে ঘেরা। ভবনের সামনের দুটি ভাস্কর্যের বিভিন্ন অংশ ভাঙা। পেছনের বাগানে গরু চরানো হয়। ভবনের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়ছে।

ভবনটি দেখতে আসা দর্শনার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও ফিরোজা বেগম বলেন, স্থাপনাটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি। ফলকে এর ইতিহাস উল্লেখ করলে নতুন প্রজন্ম অনেক কিছু জানতে পারবে।

এই প্রাসাদে অবস্থান করেছিলেন অনেক বরেণ্য ব্যক্তি। ১৯২৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ময়মনসিংহ সফরে এসে চার দিন আলেকজান্দ্রা ক্যাসেলে অবস্থান করেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী, দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ইতালীয় অধ্যক্ষ জোসেফ তুচি।

সংস্কৃতিকর্মী শামীম আশরাফ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ অনেক বরেণ্য ব্যক্তিত্বের স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনাটি কেবল কাগজ-কলমেই সংরক্ষিত। বাস্তবে এর চিত্র করুণ।

শশীলজ জাদুঘরের ফিল্ড অফিসার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আলেকজান্দ্রা ক্যাসেলসহ ময়মনসিংহের ১১টি পুরাকীর্তির সংস্কার প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে। আগামী অর্থবছরে কাজ শুরু হবে। সংস্কারের পর এটি দর্শনার্থীদের উপযোগী করে তোলা হবে। দ্রুতই সেখানে সাইনবোর্ড লাগানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বীক্ষণ’ মুক্ত মঞ্চ ভেঙ্গে দেয়ার প্রতিবাদে সোনারগাঁয়ে মানববন্ধন 
  • ময়মনসিংহে মিনি চিড়িয়াখানার পাশের অবৈধ দোকান গুঁড়িয়ে দিল সিটি করপোরেশন
  • ঋণের প্রলোভনে ৮২ লাখ টাকা নিয়ে উধাও, গ্রেপ্তার ২
  • সংস্কৃতিচর্চার পরিসর আরও সংকুচিত হলো
  • ঈশ্বরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল তরুণ ফুটবলারের
  • চিকিৎসা পেয়ে বনে ফিরল দলছুট হাতি
  • ‘বীক্ষণ’ মঞ্চ ধ্বংস করে ময়মনসিংহের আত্মাকে ক্ষতবিক্ষত করেছে প্রশাসন: গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি
  • জাতীয় কবির স্মৃতিধন্য ত্রিশালে ধারণকৃত ‘ইত্যাদি’র প্রচার আজ
  • ময়মনসিংহের ‘আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল’ কাগজে-কলমেই সংরক্ষিত, বাস্তব চিত্র করুণ