বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, পানি কখনও মারণাস্ত্র হতে পারে না, যুদ্ধের অস্ত্র হতে পারে না। অথচ একমাত্র ভারত বিশ্বকে দেখিয়ে দিল, পানি তারা যুদ্ধের মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

আজ রোববার রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে গণপদযাত্রার আগে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা ভারতের কাছে পানির ন্যায্য হিস্যা চাই। আজ না হোক, কালকে আমাদের পাওনা ঠিকই বুঝিয়ে দিতে হবে। শুধু সরকারের অপেক্ষায় আছি। আমাদের তিস্তার পানি দিতে হবে। ফারাক্কার পানি চাই। যেখানে যেখানে পানি দরকার, সেখানে সেখানে পানি দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক আগেই পানির ন্যায্য হিস্যা পেতাম, যদি হাসিনার মতো একটা সন্ত্রাসী সরকার না আসত। এই পানির বিষয়ে তারা ভারতের কাছে কিছু বলতে পারেনি।

মির্জা আব্বাস এ সময় তিস্তা নদী নিয়ে আন্দোলনের আয়োজনের প্রশংসা করেন। এ ছাড়া তিস্তা আন্দোলন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই আন্দোলনের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেন। তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বিকেল ৩টায় ডাকা গণপদযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুপুরের আগে থেকেই তিস্তাপারের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে লোকজন আসতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে শাপলা চত্বর এলাকা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

 ‘যাদের মা নেই তারা কাঁদবে, যাদের মা আছেন তারাও কাঁদবে’

মা-শব্দটি যেন পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর অনুভূতির নাম। সেই অনুভব নিয়েই নির্মিত হয়েছে ঈদের নাটক ‘ঘ্রাণ’। মায়ের প্রতি সন্তানের নিঃশব্দ ভালোবাসা, অব্যক্ত অনুশোচনা আর স্মৃতির হাহাকার নিয়ে বোনা হয়েছে এর গল্প। নাটকটি ইউটিউবে মুক্তির দুই সপ্তাহেই ৭১ লাখের বেশি দর্শকের হৃদয় ছুঁয়েছে।

মাশরিকুল আলমের নির্মাণে ও ইমদাদ বাবুর গল্পে রচিত এই নাটকে অপূর্বর চরিত্রে দেখা যায় এক ছেলেকে-যে জানেই না তার মায়ের জন্মদিন কবে! প্রেমিকার খালার জন্মদিনের আয়োজনে গিয়ে হঠাৎই বুকের ভেতর ওঠে প্রশ্ন-মায়ের জন্মদিন কেন মনে নেই? এই 'না-জানা' থেকে শুরু হয় এক আবেগঘন অনুসন্ধান, যা শুধু তার নয়-সমস্ত দর্শকেরই এক আত্মজিজ্ঞাসায় রূপ নেয়।

নাটকে অপূর্বর সঙ্গে অভিনয় করেছেন নাজনীন নিহা। মায়ের চরিত্রে রয়েছেন শেলী আহসান, যিনি নিজের অনুভব জানিয়ে বলেন, ‘এমন একটি সন্তান যদি প্রতিটি মায়ের জীবনে থাকত, পৃথিবীটা আরও সুন্দর হতো।’ অপূর্বর মতে, ‘যাদের মা নেই তারা কাঁদবে, যাদের মা আছেন তারাও।’

‘ঘ্রাণ’ এককথায় শুধুই নাটক নয়-এ যেন প্রতিটি সন্তানের ভেতরে লুকিয়ে থাকা অপরাধবোধের করুণ প্রতিচ্ছবি। যে সমাজ মাকে ভুলতে বসেছে, সেই সমাজেই আবার এক নতুন আলো ছড়ায় এই নাটক। দর্শকেরাও জানাচ্ছেন ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘মা জীবিত, তবু যেন তিনি অনেক দূরের কেউ-নাটকটি দেখে চোখের অশ্রু আর পিছু হটেনি।’

বিশেষ করে প্রবাসীদের প্রতিক্রিয়াগুলো ছিল হৃদয়বিদারক। একজন লিখেছেন, ‘মাকে নিয়ে এমন নাটক আগে কখনও দেখিনি। সংলাপগুলো যেন হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসা এক দীর্ঘশ্বাস।’

‘ঘ্রাণ’-নিঃসন্দেহে এক চিরচেনা অথচ নতুন করে দেখা মা-পুত্র সম্পর্কের সজল আয়না। যা দেখলে হয়তো মনে হবে, আমরা আসলে অনেক আগেই ভুলে গিয়েছি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটিকে-আমাদের মা-কে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ