পাওনাসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে সিলেটে চা শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
Published: 5th, May 2025 GMT
বুরজান ও কালাগুল চা বাগানসহ কয়েকটি বাগানের চা শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, বোনাস ও রেশন পরিশোধ, বসত বাড়ি নির্মাণ, মেরামত, চিকিৎসা সেবা চালু, ঔষধ প্রদান, চা বাগানের গাছ কাটা ও বিক্রি বন্ধের দাবিতে সিলেটে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বিমানবন্দর-আম্বরখানা সড়কের মালনীছড়া এলাকায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এতে আম্বরখানা-বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে পড়ে। শত শত গাড়ি আটকা পড়ে।
দীর্ঘ যানজটের খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে বিকেল ৩টায় স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন চা শ্রমিকরা। বিক্ষোভকালে চা বাগান শ্রমিকের কেন্দ্রীয় নেতা রাজু গোয়ালাসহ স্থানীয়রা বক্তব্য দেন।
আশ্বাস পাওয়ার পর ১০ জনের চা শ্রমিক নেতাদের প্রতিনিধি দল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে গিয়ে লিখিতভাবে দাবি জানান।
ইউএনও আশ্বাস দিলে চা শ্রমিকরা তাদের দাবি পূরণে এক সপ্তাহের সময় বেধে দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন বলে জানিয়েছেন চা শ্রমিক ও চাবাগান রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক রঞ্জিত নায়েক রঞ্জু।
তিনি জানান, শ্রমিকরা বেতন ও রেশন না পাওয়ায় না খেয়ে দিন পার করছেন। বুরজান চা-কোম্পানির অধীনে থাকা আড়াই হাজার শ্রমিকের বেতন-রেশন ও বোনাস বকেয়া পড়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
‘শ্রমিক সেজে’ উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির চৌধুরীকে দেখা গেছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
জানা গেছে, মহান মে দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. গিয়াস উদ্দীন। উক্ত অনুষ্ঠানে যোগ দেন আব্দুল কাদির চৌধুরী। এমনকি র্যালিতে ইউএনওর কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।
ইউএনওর সঙ্গে আওয়ামী নেতার ওই অনুষ্ঠানের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এক নেতা কীভাবে দাওয়াত পেতে পারেন।
বাহুবল উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস আহমদ তুষার বলেন, ‘‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। গণহত্যাকারী দলের জেলা পর্যায়ের নেতা সরকারি অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাবেন, বিষয়টি আমরা মেনে নিতে পারছি না।’’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘‘আমি এখানে এসেছি তিন থেকে চার মাস আগে। সবাইকে আমি চিনি না। এমনকি ওই আওয়ামী লীগ নেতাকেও চিনি না। তাকে প্রশাসনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। তিনি শ্রমিক সেজে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।’’
ঢাকা/মামুন/রাজীব