কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা মধ্যে এবার পাকিস্তান অভিমুখী চেনাব নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। গত শনিবার পাকিস্তান তাদের ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি সরকার। আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চেনাব নদীর ওপর নির্মিত বাগলিহার বাঁধে এই পদক্ষেপের পাশাপাশি কিশনগঙ্গা বাঁধেও (যেটি ঝিলাম নদীর ওপর) একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দিল্লি। জম্মুর রামবানে অবস্থিত বাগলিহার বাঁধ এবং উত্তর কাশ্মীরে অবস্থিত কিশনগঙ্গা বাঁধ। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পসহ কৌশলগত কারণে বাঁধ দুটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’ ১৯৬০ সাল থেকে সিন্ধু নদী ও এর উপনদীগুলোর পানি বণ্টন নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কার্যকর ছিল। তবে গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ঘটনার পরদিন গুরুত্বপূর্ণ এই পানি বণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত ঘোষণা করে ভারত। 

এর পরদিনই ২৪ এপ্রিল পাকিস্তানও পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি কার্যকরভাবে স্থগিত করতে পারে ইসলামাবাদ। ফলে ভারতের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ হয়ে যেতে পারে সে কোনো সময়।

ভারতের দাবি, ২২ এপ্রিলের ওই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা আছে। যদিও এ বিষয়ে শক্ত কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি দিল্লি। বিপরীতে, এ অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান। সত্য উদ্ঘাটন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এ ঘটনার স্বাধীন তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন।

এসব ঘটনা প্রবাহে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পাশাপাশি সামরিক প্রস্তুতিও বাড়ছে। তারই মধ্যে পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

এবার চেনাব নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ করল ভারত

কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা মধ্যে এবার পাকিস্তান অভিমুখী চেনাব নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। গত শনিবার পাকিস্তান তাদের ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি সরকার। আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চেনাব নদীর ওপর নির্মিত বাগলিহার বাঁধে এই পদক্ষেপের পাশাপাশি কিশনগঙ্গা বাঁধেও (যেটি ঝিলাম নদীর ওপর) একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দিল্লি। জম্মুর রামবানে অবস্থিত বাগলিহার বাঁধ এবং উত্তর কাশ্মীরে অবস্থিত কিশনগঙ্গা বাঁধ। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পসহ কৌশলগত কারণে বাঁধ দুটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’ ১৯৬০ সাল থেকে সিন্ধু নদী ও এর উপনদীগুলোর পানি বণ্টন নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কার্যকর ছিল। তবে গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ঘটনার পরদিন গুরুত্বপূর্ণ এই পানি বণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত ঘোষণা করে ভারত। 

এর পরদিনই ২৪ এপ্রিল পাকিস্তানও পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি কার্যকরভাবে স্থগিত করতে পারে ইসলামাবাদ। ফলে ভারতের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ হয়ে যেতে পারে সে কোনো সময়।

ভারতের দাবি, ২২ এপ্রিলের ওই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা আছে। যদিও এ বিষয়ে শক্ত কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি দিল্লি। বিপরীতে, এ অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান। সত্য উদ্ঘাটন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এ ঘটনার স্বাধীন তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন।

এসব ঘটনা প্রবাহে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পাশাপাশি সামরিক প্রস্তুতিও বাড়ছে। তারই মধ্যে পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ