চার মাস চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে গুলশানে নিজ বাসা ‘ফিরোজা’য় পৌঁছালেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশ করেন তিনি। তার সঙ্গে আছেন বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান। 

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাকে বহনকারী কাতারের আমিরের বিশেষ ফ্লাইট।

দীর্ঘদিন পর দলনেত্রীর আগমনে আবেগাপ্লুত বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনতা সকাল থেকেই বিমানবন্দরের আশপাশে জড়ো হন। দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানাতে হাতে পতাকা নিয়ে আর কণ্ঠের স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে বিমানবন্দর এলাকার সড়কপথ।

বিমানবন্দর সংলগ্ন রাস্তায় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলীয় পতাকা, ব্যানার ও খালেদা জিয়ার ছবি হাতে অবস্থান নেন। নিরাপত্তা ও যানজট মোকাবিলায় ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে, তার বাসার সামনেও নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই অবস্থান করছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে ওসমানী উদ্যানে নির্মিত হবে স্মৃতিস্তম্ভ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে রাজধানীর ওসমানী উদ্যানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে (ডিএসসিসি) দিয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে ডিএসসিসি স্মৃতিস্তম্ভের নকশাও চূড়ান্ত করেছে। দ্রুতই এটির নির্মাণকাজ শুরু ও শেষ করতে চায় ডিএসসিসি। 

জানা যায়, গত নভেম্বরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ওসমানী উদ্যান পরিদর্শনে গিয়ে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের বিষয়ে সরকারের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন। পরবর্তীতে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিএসসিসিকে। 

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ঢাকার বিভিন্ন পার্কে অনেক স্মৃতিস্তম্ভ থাকলেও ওসমানী উদ্যানে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু নেই। এজন্য এই স্থানটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। স্মৃতিস্তম্ভের জন্য এই জায়গাটাও উপযুক্ত।

ইতোমধ্যে ডিএসসিসির পক্ষ থেকে তৈরি করা নকশায় দেখা গেছে, স্তম্ভের মূল স্থাপনা হবে ৯০ ফুট উঁচু। ব্রোঞ্জ দিয়ে এটি তৈরি করা হবে। এটিতে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের নাম খোদাই করে লেখা থাকবে। এছাড়া স্তম্ভের সম্মুখভাগ ঘিরে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের অবয়ব ফুটিয়ে তোলা হবে। সচিবালয় সন্নিকটে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের  পাশে সুবিধাজনক স্থানে এটি তৈরি করা হবে। আর উদ্যানের প্রবেশমুখে তৈরি করা হবে ২৪–এর আদলে একটি ফটক। খুব শিগগিরই এটি তৈরির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে জানা গেছে। 

ডিএসসিসির এক প্রকৌশলী জানান, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ