সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। মঙ্গলবার (৬ মে) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করেন।

এর আগে, সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “প্রস্তাবিত নতুন আইনে আগের আইনের নিবর্তনমূলক ৯টি ধারা বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যেগুলোর আওতায় আগের আইনের ৯৫ শতাংশ মামলাই দায়ের হয়েছিল। এই ধারাগুলো বাতিল হলে সেগুলোর অধীনে করা মামলা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খারিজ হয়ে যাবে।”

আরো পড়ুন:

ধর্ষণের সংজ্ঞায় পরিবর্তনসহ আইনে বেশ কিছু সংশোধনী আসছে: আসিফ নজরুল

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত

উপ-প্রেস সচিব বলেন, “নতুন আইনে গুরুতর সাইবার হ্যাকিং ছাড়া অন্য কোনো অপরাধের জন্য পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তারের বিধান থাকছে না। এটি সাংবাদিকদের হয়রানি হ্রাসে বড় অগ্রগতি হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”

তিনি আরো বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এই আইনের অধীনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা ইতোমধ্যেই প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুন আইন কার্যকর হলে দেশে মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ সৃষ্টিতে তা সহায়ক হবে।”

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড জ ট ল আইন উপদ ষ ট আইন র

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ