অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা না করার অনুরোধ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের
Published: 6th, May 2025 GMT
জনপ্রশাসন এবং মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা কর্মচারীদের অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন না করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার (৬ মে) অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি জেলা প্রশাসক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত ও বগুড়ার জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব অনুযায়ী জনপ্রশাসন এবং মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মচারীদের অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন বিষয়ে পর্যালোচনাপূর্বক সুপারিশ দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ৩০ এপ্রিল অফিস আদেশ অনুযায়ী যুগ্ম সচিবের (বিধি-১) নেতৃত্বে আট সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। এটি খুবই উদ্বেগ ও চিন্তার বিষয়। এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগের কারণে সচিবালয়ে কর্মরত সর্বস্তরের কর্মচারীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া, হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের জন্য বর্তমান সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কাজের প্রকৃতি, ব্যাপ্তি ও পরিধির সঙ্গে মাঠ প্রশাসনের কাজের কোনো মিল নেই। এমনকি মন্ত্রণালয়ের সাংগঠনিক কাঠামোর সঙ্গে মাঠ প্রশাসনের সাংগঠনিক কাঠামোর মিল নেই। শুধু তাই নয়, বেতন কাঠামোর কোনো মিল নেই। মাঠ পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ে পোস্টিং হলে প্রশাসনিক ক্ষমতার বলয়ে তার অধীনে মাঠ প্রশাসনের জনবলও মন্ত্রণালয়ে সঙ্গে করে নিয়ে আসবে। বদলি ও প্রশাসনিক হয়রানি বাড়বে। নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সুপ্রিম কোর্টের অধীন ব্যণিজ্যিক ব্যাংক ও নিম্ন আদালতের এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা নেই। তাই সার্বিক দিক বিবেচনায় এনে এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন বন্ধ করা জরুরি। অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে সচিবালয়ে অস্থিরতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ক মো.
তিনি এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র র প রণয়ন
এছাড়াও পড়ুন:
এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নে রুল
এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, এমফিল/পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য গত ১০ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্তে ন্যূনতম নম্বর, শ্রেণির সঙ্গে যে জিপিএ/সিজিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, চুয়েট ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়) তুলনায় অনেক বেশি উল্লেখ করে তা সমন্বয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন দেন কয়েকজন প্রার্থী। এতে ফল না পেয়ে সালাহ উদ্দিন মোহাম্মদ উজ্জলসহ তিনজন প্রার্থী রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জুয়েল আজাদ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন আদনান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
পরে আইনজীবী জুয়েল আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অভিন্ন কোনো নীতিমালা না থাকায় গ্রেডিং সিস্টেম নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে বৈষম্য দেখা যায়। কারণ, সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নীতিমালা নেই। ফলে অনেক শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। শিক্ষাসচিব, উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।