পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ভারতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬, আহত ৩০
Published: 7th, May 2025 GMT
পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতের ব্যাপক বিমান হামলার জবাবে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর তীব্র গোলাবর্ষণ করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে ৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৩০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এর আগে তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী।
আরো পড়ুন:
‘সাদা পতাকা উত্তোলন করেছে ভারত’
ভারতের অত্যাধুনিক রাফায়েল যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের
এক বিবৃতিতে ভারতীয় সেনবাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পুঞ্চ এবং রাজৌরিতে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর সামনের গ্রামগুলোতে ভারী মর্টার শেলিং করেছে।
ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দ্য হিন্দু জানিয়েছে, পুঞ্চের কৃষ্ণা ঘাটি, শাহপুর এবং মানকোট, রাজৌরি জেলার লাম, মাঞ্জাকোট এবং গম্বীর ব্রাহ্মণা থেকে গোলাগুলি চালানোর খবর পাওয়া গেছে। ভারতীয় সেনা পাল্টা জবাব দিয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে নারী-শিশুসহ আটজন নিহত হওয়ার দাবি করেছে ইসলামাবাদ।
ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে
প্রযুক্তির উৎকর্ষের মধ্যেও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে প্রায়ই বিকৃতভাবে বা ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। গুগলে ‘ইনডিজেনাস পিপল’ লিখে খোঁজা হলে মাঝেমধ্যে এমন ছবি দেখানো হয়, যা তাদের ‘আদিম’, ‘বন্য’, ‘বর্বর’, ‘জংলি’ ও ‘হিংস্র’ আকারে উপস্থাপন করে।
সোমবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। ‘আদিবাসী নারীর অধিকার রক্ষা ও ভবিষ্যৎ গড়ার লড়াইয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক।
আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী ত্রিপুরা। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের ঘিরে এমন উপস্থাপনের প্রভাব নারীদের ওপরও পড়বে।
মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, দেশে জাতিসংঘের অনেকগুলো দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হলেও আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করা হয় না। তিনি বলেন, বুঝুক আর না বুঝুক বাংলাদেশ জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশনকে তড়িঘড়ি করে সমর্থন করে। কিন্তু এই কনভেনশনকে সমর্থন করেনি। সরকার বুঝেশুনেই সমর্থন করেনি। আগের সরকার বলেছে, বাংলাদেশে আদিবাসী নেই, এই সরকারও আদিবাসীদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না।
একটাই ধর্ম ও জাতিসত্তা থাকবে, এমন মনোভাব কাম্য নয় উল্লেখ করে এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘কিসের ভয়ে আমরা দেশে ভিন্ন ধর্ম, চিন্তা ও জাতিসত্তার মানুষকে থাকতে দেব না? কে অধিকার দিয়েছে যে একটি মাত্র মতবাদ, চিন্তা, ভাষা জাতি ও ধর্ম থাকবে? রাষ্ট্রের জন্য এটা কাম্য হতে পারে না।’
চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে সমতল ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করে খুশী কবির বলেন, অভ্যুত্থানের পরে আর নারীদের কোনো অংশগ্রহণ নেই। নারী কমিশন গঠন করা হয়। কিন্তু কমিশনের কোনো কিছু গ্রহণ করা হয়নি। এর অর্থ সরকার নারীদের ভয় পায়। এই অবস্থা টিকে থাকার জন্য অভ্যুত্থান হয়নি। তাই অধিকার আদায়ে নারীদের শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। এখনই উত্তম সময়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির ছবি: প্রথম আলো হেডিং: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে