Samakal:
2025-10-03@02:38:51 GMT

অলস সময় কাটছে শুটারদের

Published: 7th, May 2025 GMT

অলস সময় কাটছে শুটারদের

‘শুটিংয়ে কিছুই হয় না। সব কিছু বন্ধ’–ফোনের ওপাশ থেকে সাবেক শুটার শারমিন আক্তার রত্নার এই অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছে বাংলাদেশের শুটিংয়ের বেহাল দশা। পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর থেকে এই পর্যন্ত ঘরোয়া প্রতিযোগিতা যেমন হয়নি, তেমনি আন্তর্জাতিক আসরগুলোতেও প্রতিনিধিত্ব করতে পারেননি বাংলাদেশের শুটাররা। অ্যাডহক কমিটি না হওয়ায় শুটিংয়ের ভবিষ্যৎ দেখছেন না শুটাররা। কয়েকজন ক্লাবের উদ্যোগে অনুশীলন করলেও একটা গেমস খেলার জন্য তা যথেষ্ট নয়। ৮-৯ মাস ধরে অভিভাবকশূন্য শুটিংয়ে শুধু হতাশা। অলস সময় কাটছে শুটারদের।

সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ২৩-৩১ জানুয়ারি পাকিস্তানে হবে সাউথ এশিয়ান গেমস। বাংলাদেশ যে ২৬টি ডিসিপ্লিনে অংশ নেবে তার মধ্যে আছে সম্ভাবনাময় ইভেন্ট শুটিং। অন্য ফেডারেশনগুলোর বেশির ভাগই প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে। শুটিংয়ে তার কিছুই হয়নি। এখনও কমিটিই হয়নি দেশের সম্ভাবনাময় এই ডিসিপ্লিনে। অথচ চার মাসের বেশি সময় আগে নাকি শুটিংয়ের কমিটি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে সার্চ কমিটি। কেন শুটিংয়ের কমিটি ঘোষণার প্রজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে না, তা অজানা সার্চ কমিটির আহবায়ক জোবায়েদুর রহমান রানার কাছে। 

গতকাল সমকালের কাছে তিনি বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন তো দেবে মন্ত্রণালয়। সেটি তো আর আমাদের হাতে নেই। আমরা চার মাসের বেশি সময় আগে শুটিং ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি দিয়ে রেখেছি। শেষ কো-অর্ডিনেশন মিটিং করতে হয় কমিটি চূড়ান্ত করার জন্য। সেটিও আমরা করে দিয়েছি। এরপর তাদের কাজ হলো প্রজ্ঞাপন করা। শুধু শুনছি করবে করবে। কী সমস্যা সেটি তারা বলতে পারবেন, আমরা জানি না।’ 

চার মাস ধরে শুটিংয়ের কমিটি কেন ঘোষণা করা হচ্ছে না তা জানতে চাইলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো.

আমিনুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাই করছি। যাচাই প্রতিবেদন এখনও আসেনি।’

আমলাতান্ত্রিক এ জটিলতায় শুটারদের ক্যারিয়ার এখন হুমকির মুখে। এরই মধ্যে ঘরোয়া দুটি প্রতিযোগিতা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এয়ারগান ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ হয়নি। গত ফেব্রুয়ারিতে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে খেলা হয়নি বাংলাদেশের শুটারদের। অথচ এই প্রতিযোগিতায় পদক জিতেছেন মালদ্বীপের মতো দেশের শুটাররা; যারা শুটিংয়ে খুব একটা পদক পান না। গত এপ্রিলে আর্জেন্টিনায় শুটিং বিশ্বকাপে খেলা হয়নি। চলতি মাসে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত জুনিয়রদের বিশ্বকাপেও অংশ নেয়নি বাংলাদেশ। জুনে এই জার্মানিতে সিনিয়রদের বিশ্বকাপে এবং আগস্টে কাজাখস্তানে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার সম্ভাবনা দেখছেন না রত্না। শুধু গত ফেব্রুয়ারিতে তারুণ্যের উৎসব হয়েছিল শুটিংয়ে। 

এ অবস্থায় শুটাররা কতটা অসহায় হয়ে পড়েছেন তা উঠে এসেছে শারমীন আক্তার রত্নার কণ্ঠে, ‘শুটার সবাই হতাশ। অভিভাবকহীন অবস্থার কারণে সবাই খুব বিরক্ত। যারা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আছেন, তারা তো প্রতিযোগিতা শুরু করা কিংবা অন্য কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। এ অবস্থায় আমাদের শুটারদের পারফরম্যান্স তলানির দিকে চলে যাচ্ছে। শুটিং তো অন্যান্য ফেডারেশনের মতো নয় যে, এক সপ্তাহ কিংবা ১০-১৫ দিন অনুশীলন করলেই আগের মতো ফিটনেস চলে আসবে। শুটিংয়ের প্র্যাকটিসটা লাগে দীর্ঘমেয়াদি। সেখানে এখন তো খেলা ৯ মাসের মতো বন্ধ।’ 

শুটিং রেঞ্জে প্রাণ ফেরানোর জন্য দ্রুতই যেন কমিটি দেয় মন্ত্রণালয় সেই আর্জি শুটারদের।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক

৭ বছরের বিরতির পর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নতুন নেতৃত্ব।

তবে পূজার ছুটি শেষ না হওয়ায় এখনও হয়নি অভিষেক ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ফলে দায়িত্বভার নিতে পারছেন না নবনির্বাচিতরা।

আরো পড়ুন:

গকসুর জিএস, এজিএসের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আপত্তি, পুনর্নির্বাচন দাবি

চাকসু নির্বাচন: দুই নারী প্রার্থীকে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজার পর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের অভিষেক। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও নির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি। এতে নির্বাচনের পর যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তা এখন রূপ নিয়েছে অপেক্ষার আবহে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ২৫ সেপ্টেম্বর দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ৭ বছরের ব্যবধান ঘুচিয়ে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব বেছে নেন। ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, প্রার্থীদের প্রচারণা আর ভোটের দিন ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তোলে।

ভোট শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হলেও আনুষ্ঠানিক অভিষেক না হওয়ায় এখনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি তারা।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেশমা আক্তার বলেন, “গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হলেও নির্বাচিত সদস্যরা এখনও শপথ গ্রহণ করেননি। এই বিলম্বের সুযোগে কিছু মহল নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে সফল করতে এবং অপপ্রচার রোধে নির্বাচিত সদস্যদের দ্রুত শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করা জরুরি। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করতে পারেন।”

সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান বলেন, “নির্বাচনের পরের দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল এবং দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন পূজার ছুটির পর যতদ্রুত সম্ভব অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, “ছুটি শেষে শপথ গ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এখন পর্যন্ত কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।”

২০১৩ সালে প্রথমবার গকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর চতুর্থ নির্বাচনে সম্পাদকীয় ও অনুষদ প্রতিনিধি মিলিয়ে মোট ১২টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫৮ জন প্রার্থী। ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৭৬১ জন।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ভবন ধস: ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও আটকা ৯১ জন
  • বাজেট বিল নিয়ে অচলাবস্থা, শাটডাউনের পথে যুক্তরাষ্ট্র
  • পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক