কোরবানির ঈদে সংবাদপত্রে ৪ দিন ছুটি দাবি মাহমুদুর রহমানের
Published: 8th, May 2025 GMT
কোরবানির ঈদে সংবাদপত্রকর্মীদের অন্তত ৪ দিন ছুটি হওয়া দরকার বলে মনে করেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। আর পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের কর্মীদের জন্য প্রণোদনা দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘গণমাধ্যম সংস্কার: সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, “ঈদের ছুটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেহেতু আমরা এখন ডিজিটাল যুগে বাস করছি, সেজন্য অনলাইনটা চালাতেই হয়। এটার কোনো বিকল্প নাই। এটার বিকল্প হচ্ছে অনলাইনে যারা কাজ করছে, তাদের আর্থিকভাবে পুষিয়ে দিতে হবে। এটা বন্ধ করা যেহেতু সম্ভব না।”
আরো পড়ুন:
কেইউজের নির্বাচনে সম্রাট-মহেন পরিষদের জয়লাভ
“আমার হাতে তো ক্ষমতা নাই, কিন্তু আমার যদি ক্ষমতা থাকত, আগামী ঈদে ১০ দিন ছুটি থাকবে সরকারি। আমি অন্ততপক্ষে সাংবাদিকদের জন্য ৪ দিন করে দিতাম। আর অনলাইনের ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে পুষিয়ে দেওয়া উচিত।”
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনারা এই সরকারের কাছে দাবি করছেন কী কী সংস্কার করতে হবে। আগামী রাজনৈতিক সরকার এসে যদি বলে, ‘এই সংস্কার আমরা মানি না, আমরা আমাদের মতো করে রাষ্ট্র চালাব’। সেক্ষেত্রে আপনারা কী করবেন, সেটা নিয়ে মনে হয় একটু আগাম পরিকল্পনা করে রাখা দরকার।”
দেশের মুদ্রিত সংবাদপত্রগুলোর একটি অংশের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ এবং সংবাদপত্রগুলোর মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সমালোচনা করেন আমার দেশ সম্পাদক।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব দপত র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বেহাল ৫ কিলোমিটার সড়ক যান চলাচলে ঝুঁকি
হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার সংযোগ সড়ক পানিউমদা-শমশেরনগর সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। ব্যস্ত এ সড়কে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা বাজার থেকে মৌলভীবাজার জেলার শমশেরনগর পর্যন্ত সড়কে গত ১০ বছরেরও কোনো সংস্কারকাজ হয়নি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন নিয়মিত মাপজোক করে সংস্কারের আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ সড়কে চলাচলে কষ্টের শেষ থাকে না।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কে ছোট-বড় খানাখন্দে ভরপুর। কয়েকটি গর্ত বেশ গভীর। যার মধ্যে দুই ও তিন চাকার যান উল্টে যেতে পারে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় চালক ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, এ সড়কে চলাচল করতে তাদের কষ্টের পাশাপাশি সবসময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি তাড়া করে বেড়ায়।
নবীগঞ্জ উপজেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনু আহমদের ভাষ্য, গত এক মাসে মৌলভীবাজার-শমশেরনগর টু নবীগঞ্জ পানিউমদা সড়কে ২০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হন। বিশেষ করে সড়কের টঙ্গিটিলা, ভেড়ামারা, মোকামবাজার, পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা, শমশেরনগর লেবু বাগান এলাকায় সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। বর্ষা মৌসুমে খানাখন্দে পানি জমলে গাড়ি চালানো সম্ভব হয় না।
পানিউমদা গ্রামের ব্যবসায়ী অনু আহমদ জানান, এই সড়কের গুরুত্ব শুধু স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয়। এটি হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার মানুষের যোগাযোগের অন্যতম সড়ক। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণির মানুষের যাতায়াত এই পথেই। অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত।
স্থানীয় এক বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর চলাচলের এটিই একমাত্র সড়ক। প্রতিদিন এ সড়কে চলাচল করতে গিয়ে তাদের কষ্টের শেষ থাকে না। ক’দিন পরপর মাপজোক হয়; কিন্তু সংস্কার আর হয় না।
অটোরিকশা চালক কুদ্দুছ মিয়া জানান, রাস্তায় বড় বড় গর্ত হওয়ায় যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। এতে তাদের আয়-রোজগারও কমে গেছে।
পানিউমদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান বলেন, বেহাল সড়কটি এলাকাবাসীর দুঃখকষ্টের অন্যতম কারণ। তিনি মাসিক উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় সড়কটি সংস্কারের কথা অসংখ্যবার বলেছেন। বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
নবীগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. জোনায়েদ আলম বলেন, গুরুত্ব বিবেচনা করে পানিউমদা-শমশেরনগর সড়ক সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের প্রাক্কলন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।