কোরবানির ঈদে সংবাদপত্রকর্মীদের অন্তত ৪ দিন ছুটি হওয়া দরকার বলে মনে করেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। আর পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের কর্মীদের জন্য প্রণোদনা দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘গণমাধ্যম সংস্কার: সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, “ঈদের ছুটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেহেতু আমরা এখন ডিজিটাল যুগে বাস করছি, সেজন্য অনলাইনটা চালাতেই হয়। এটার কোনো বিকল্প নাই। এটার বিকল্প হচ্ছে অনলাইনে যারা কাজ করছে, তাদের আর্থিকভাবে পুষিয়ে দিতে হবে। এটা বন্ধ করা যেহেতু সম্ভব না।”

আরো পড়ুন:

কেইউজের নির্বাচনে সম্রাট-মহেন পরিষদের জয়লাভ

“আমার হাতে তো ক্ষমতা নাই, কিন্তু আমার যদি ক্ষমতা থাকত, আগামী ঈদে ১০ দিন ছুটি থাকবে সরকারি। আমি অন্ততপক্ষে সাংবাদিকদের জন্য ৪ দিন করে দিতাম। আর অনলাইনের ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে পুষিয়ে দেওয়া উচিত।”

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনারা এই সরকারের কাছে দাবি করছেন কী কী সংস্কার করতে হবে। আগামী রাজনৈতিক সরকার এসে যদি বলে, ‘এই সংস্কার আমরা মানি না, আমরা আমাদের মতো করে রাষ্ট্র চালাব’। সেক্ষেত্রে আপনারা কী করবেন, সেটা নিয়ে মনে হয় একটু আগাম পরিকল্পনা করে রাখা দরকার।”

দেশের মুদ্রিত সংবাদপত্রগুলোর একটি অংশের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ এবং সংবাদপত্রগুলোর মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সমালোচনা করেন আমার দেশ সম্পাদক।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব দপত র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইরান ইস্যুতে এখনও কূটনীতিতে আগ্রহী ট্রাম্প: হোয়াইট হাউস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে কূটনৈতিক সমাধানে এখনও আগ্রহী বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। তবে ইরান সরকার যদি আলোচনায় না আসে, তাহলে দেশটির জনগণের উচিত হবে এই ‘সহিংস শাসনব্যবস্থা’কে উৎখাত করা—এমন মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট।

সোমবার হোয়াইট হাউস এ তথ্য জানিয়েছে বলে এএফপি, আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে। 

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভি বলেন, “ইরানি শাসকগোষ্ঠী যদি শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক সমাধানে না আসে, তাহলে ইরানি জনগণের উচিত হবে এই সহিংস সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া, যারা দশকের পর দশক ধরে তাদের দমন করে আসছে। এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনও আগ্রহী এবং সম্পৃক্ত।”

তবে হোয়াইট হাউসের এ বক্তব্যের একদিন আগেই মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানান, ইরানে সাম্প্রতিক মার্কিন হামলা ‘শাসন পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে নয়’।

এর কিছুক্ষণ পরেই ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, ‘যদি বর্তমান ইরানি সরকার ইরানকে আবার মহান করতে না পারে, তাহলে শাসন পরিবর্তন কেন হবে না???’

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের বক্তব্যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই কূটনীতি এবং কঠোর অবস্থান—দুই দিকেই খোলা রাখার ইঙ্গিত মিলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ