Prothomalo:
2025-11-17@11:04:12 GMT

গরমেও কীভাবে ব্যায়াম করবেন

Published: 8th, May 2025 GMT

বাংলাদেশে সবচেয়ে তপ্ত মাস এপ্রিল। এবার এপ্রিলে গরম অবশ্য গত বছরের মতো অতটা তীব্র ছিল না। তবে মে মাসের শুরু থেকে ধীরে ধীরে গরম বাড়ছে। গরমে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতেই নাভিশ্বাস ওঠে মানুষের। এর মধ্যে ব্যায়াম করা হয়ে ওঠে কঠিন।

কিন্তু গরমেও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। বিশেষ করে যাঁদের ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, স্থূলতা বা রক্তে বাড়তি চর্বির সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য এই সময়েও ব্যায়াম করাটা জরুরি। তবে গরমে ব্যায়াম অথবা শরীরচর্চা করার সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

কখন ও যেসব ব্যায়াম করবেন

‘গ্রীষ্মকালীন ব্যায়াম’ বলে কিছু নেই। সাধারণ সময়ে যেসব ব্যায়াম করেন, সেগুলোই এ সময় করতে পারেন। তবে গরমের সময় দুপুরে বা রোদে ব্যায়াম করা ঠিক নয়। ভোরবেলা বা সন্ধ্যার পর অপেক্ষাকৃত শীতল সময় বেছে নেওয়া ভালো।

প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় বাইরে না গিয়ে বাড়িতেও হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় কমপক্ষে ১০ মিনিট দড়ি লাফ দিতে পারেন। দিন দিন সময় আরও বাড়িয়ে দিন। কম সময়ের জন্য সহজ ব্যায়াম এটি।

জুম্বা অর্থাৎ নাচের মাধ্যমে করা একধরনের শারীরিক ব্যায়ামও বাড়িতে সম্ভব। বাসায় নিয়ম করে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। কোনো বিপণিবিতান বা মার্কেটেও ঘুরতে যেতে পারেন। সেখানে ঠান্ডার মধ্যে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। ইয়োগা বা ধ্যানও করতে পারেন। এটি কোনো ঘাম না ঝরালেও শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

যা করবেন

গরমের সময় লিফট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। সিঁড়ি ব্যবহার করুন। দুপুরে ও রাতে খাওয়ার পর ছাদে বা বাড়ির সামনের ফাঁকা জায়গায় বা সামনের রাস্তায় একটু হেঁটে আসুন। গরমকালে সবচেয়ে ভালো ব্যায়ামগুলোর একটি সাঁতার। এতে গরমের যন্ত্রণা থেকেও রেহাই মেলে।

ভালো করে ধুয়ে-মুছে শুয়ে পড়ুন শীতল মেঝেতে। মেঝের শীতলতা আপনাকে গরম থেকে মুক্তি দেবে। শুয়েও কিছু কিছু ব্যায়াম করতে পারেন; যা আপনার কোমরে বা পিঠে ব্যথা থাকলে সারিয়ে দেবে।

বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেচিং ব্যায়াম, যেমন আর্ম স্ট্রেচিং বা লেগ লিফটিং করতে পারেন। এতে খুব একটা ঘাম হয় না, কিন্তু রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং চর্বি ঝরে যায়।

সাইকেল চালানোর অভ্যাসও করতে পারেন। এতে একদিকে যেমন ব্যায়াম হবে, অন্যদিকে বাতাস লাগার কারণে গরমে আরাম লাগবে।

ব্যায়ামের সময় গরমে অনেক ঘাম হতে পারে। তাই প্রচুর পরিমাণ পানি পান করবেন।

এম ইয়াছিন আলী, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব য য় ম কর র সময় করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর

বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!

কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।

এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)

সম্পর্কিত নিবন্ধ