লেবাননের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের দূতের পরিচয়পত্র পেশ
Published: 8th, May 2025 GMT
লেবাননে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, লেবাননের রাষ্ট্রপতি জেনারেল জোসেফ আউনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
লেবাননের রাষ্ট্রপতি ভবনে পরিচয়পত্র পেশকালে সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ রাজী, লেবাননের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পরিচয়পত্র প্রদান শেষে লেবাননের রাষ্ট্রপতি জেনারেল জোসেফ আউনের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন সংক্ষিপ্ত বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত, লেবাননের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। লেবাননের রাষ্ট্রপতি লেবাননে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং তার দায়িত্ব পালনে সব প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতি বৈরুত পোর্ট বিস্ফোরণ-উত্তর দুর্যোগপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ জনগণের পক্ষ থেকে প্রেরিত মানবিক সহায়তার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
এছাড়া তিনি লেবানন ও বাংলাদেশের মধ্যকার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীতকরণে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীতকরণে এবং দুই দেশের জনগণের জন্য তা অর্থবহ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ সরকার লেবানন সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ককটেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করলে গুলির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশকে বা জনগণকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ কিংবা গাড়িতে আগুন দিলে হামলাকারীকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে বেতার বার্তায় মাঠ পর্যায়ে নিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের এমন নির্দেশনা দেন তিনি। ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করলেও কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
আরো পড়ুন:
অতিরিক্ত আইজি-ডিআইজিসহ পুলিশের ৩১ কর্মকর্তাকে বদলি
ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরা হলো না শিক্ষকের
নাশকতাকারীদের লক্ষ্য করে গুলির নির্দেশ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, “হ্যাঁ, বলেছি। বলেছি, বাসে আগুন দিলে, পুলিশ ও জনগণের গায়ে আগুন দিয়ে গুলি করে দিতে বলেছি।”
এটা কি আইনে কাভার করে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, “একশ’তে একশ’ কাভার করে। চাইলে আপনিও পারেন এটা!”
পুলিশ কিংবা নাগরিক নাশকতাকারীর বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে, তা ব্যাখ্যা করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “দণ্ডবিধির ৯৬ থেকে ১০৪ ধারাতে যা বলা আছে, সে অনুযায়ী, আপনিও পারেন এটা। তাতে বলা আছে যে, যেকোনো লোকের সম্পদ বা জানের হেফাজতের জন্য সে গুলি করতে পারে, তার যদি গান থাকে।”
তিনি বলেন, “সে আইন অনুযায়ী এই বার্তাটা আমি স্মরণ করায় দিলাম আমার কলিগদের যে, যে কোনো বাসে আগুন দিবে, তোমার গায়ে ককটেল মারবে, জনগণের গায়ে ককটেল মারবে, তুমি গুলি করে দিবা।”
উল্লেখ্য, দণ্ডবিধির ৯৬ ধারায় বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগকালে কৃত কোনোকিছুই অপরাধ নহে।’
গত সপ্তাহে চট্টগ্রামে কয়েকটি ‘টার্গেট কিলিংয়ের’ পর দিশেহারা নগর পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেন। গত ১১ নভেম্বর দুপুরে বেতার বার্তার মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেন সিএমপি কমিশনার।
এর পরদিন সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিএমপি কমিশনারের এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানায় মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
সংস্থাটি বলেছে, দেশের সংবিধান যেকোনো নাগরিকের জীবনের অধিকার এবং আইনের আশ্রয় পাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়। সন্দেহভাজন অপরাধীকেও আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া হত্যা বা গুলি চালানোর নির্দেশ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ঢাকা/এমআর/রফিক