এক্সপ্রেসওয়েতে ডাকাতি চেষ্টায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের স্বীকারোক্তি
Published: 9th, May 2025 GMT
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর এলাকায় ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করলে দোষ স্বীকার করে বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেন। শ্রীনগর আমলি আদালত-৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো.
পুলিশ তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে পরিহিত পোশাক ও তিনটি ছেন দা উদ্ধার করেছে। ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে বুধবার বিকেলে পুলিশ সুপারে কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসূল আলম সরকার। তিনি বলেন, ৫ মে রাতে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন গ্রামের রবিউল আলমের প্রতিবেশী অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ সময় রবিউল নিজের গাড়িতে তাঁকে চিকিৎসার জন্য চারজনসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত ২টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এলাকায় রাস্তার ওপর কিছু ছনের আঁটি দিয়ে তৈরি করা ব্যারিকেড পান। গাড়ি থামাতেই পাশ থেকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র (ছেন দা) নিয়ে ছয়জন আক্রমণ করতে ছুটে আসে।
চালক বুঝতে পেরে পেছনে যাওয়া শুরু করলে ডাকাত দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে গাড়ির দিকে ধাওয়া করে। ধরতে ব্যর্থ হলে অস্ত্র ছুড়ে মারে তারা। এ ঘটনার ভিডিও ক্যামেরায় রেকর্ড হলে পরে গণমাধ্যমে প্রচার হয়। পুলিশ সুপার বলেন, জেলা পুলিশ ঘটনাটি জানার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা পাঁচজনকে গ্রেপ্তার ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়র পদ নিয়ে নগর ভবনের ঘটনা নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে: ইসলামী আন্দোলন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ নিয়ে নগর ভবনে যা হচ্ছে তা ‘মূল্যায়ন অযোগ্য’ বলে মনে করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, কোটি মানুষের সেবাদাতা নগর ভবন দিনের পর দিন তালাবদ্ধ করা ও থাকতে দেওয়ার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। রাজনীতি ও পদবির জন্য প্রতিষ্ঠান ও জনতাকে এভাবে জিম্মি করার ঘটনা একটি নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রের স্বার্থে সরকারি চাকরিজীবীদের অনেক ক্ষেত্রেই সীমিত মাত্রায় অবস্থান করতে হয়। একজন সরকারি চাকরিজীবী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না, দলীয় রাজনীতি করতে পারেন না। একইভাবে তাঁরা কোনো দাবি আদায়ে বিক্ষোভ বা অচলাবস্থা তৈরি করতে পারেন না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মচারীদের কর্মবিরতির বিষয়ে মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, আধুনিক ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও ফলাফলনির্ভর। এই মৌলিক নীতিকে সামনে রেখে চাকরিবিধি সংস্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে জিডিপি-কর অনুপাত খুবই খারাপ অবস্থায়। সেটা উন্নত করার জন্য রাজস্ব খাতের সংস্কার অপরিহার্য ছিল। সংস্কারে কারও কারও দ্বিমত থাকতে পারে কিন্তু কর্মবিরতি দিয়ে জনগণকে জিম্মি করা কোনোভাবে সমর্থনযোগ্য নয়।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে সামগ্রিক সংস্কারের অংশ হিসেবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় ও সরকারি চাকরিবিধিতে সংস্কার আনা হয়েছে। যেকোনো পরিবর্তন একধরনের অস্থিরতা তৈরি করে। সেই অস্থিরতা দূর করার জন্য আলোচনাই উত্তম পন্থা। কিন্তু রাজস্ব খাতের সংস্কার ও চাকরিবিধির পরে রাজস্ব খাত ও সচিবালয়সহ সরকারি অফিসে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা নজিরবিহীন। একটি আধুনিক ও কার্যকর রাষ্ট্রে জনপ্রশাসনে এমন অচলাবস্থা রাষ্ট্রের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, ‘যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করুন। যৌক্তিক কোনো বিষয় থাকলে তা আমলে নিন। অযৌক্তিক কোনো কিছু নিয়ে কেউ গোঁ ধরলে তাঁকে আইনের আওতায় আনুন। কিন্তু জনগণের টাকায় বেতন নেবেন, কিন্তু তাঁদের সেবা না দিয়ে অযৌক্তিক দাবিতে কর্মবিরতি পালন করবেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।’