চুয়াডাঙ্গায় বিরামহীন দাবদাহে জনজীবন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে তীব্র দাবদাহ। রোদ্রের তীব্রতায় গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ। আজ শুক্রবার দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে । এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান। তিনি বলেন, এর আগে বেলা ১২ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি ছিল চুয়াডাঙ্গায়।

এদিকে তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ। রোজগারের তাগিদে তাদের রোদ আর দাবদাহ উপেক্ষা করেই রাস্তায় নামতে হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা সদরের কুন্দিপুর গ্রামের অটোরিকশা চালক রশিদুল ইসলাম বলেন, কড়া রোদের মধ্যে গরম উপেক্ষা করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি যাত্রীর আশায়। কিন্তু বাইরে মানুষ না থাকায় ভাড়া হচ্ছে না। 

পথচারী আব্দুর রহিম বলেন, এত রোদ গরমে বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। খুব জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হয়েছি। কিন্তু রাস্তায় দাঁড়ালে মনে হয় আগুন ঝরছে। মাথা গরম হয়ে চোখে ঝাপসা দেখছি, মুখ পুড়ে যাচ্ছে।

এই অস্বাভাবিক গরমে শুধু শ্রমজীবী নয়, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থরাও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতা ও ঘামজনিত সমস্যার রোগী বাড়ছে বলেও জানা গেছে।

আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত আগামী কয়েকদিন এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত পদ হ গরম

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ