সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মো. ইসাহাক আলী নামে এক কৃষকের ছয় বিঘা জমির বোরো ধান আগাছানাশক প্রয়োগে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী কৃষক জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের ঘড়গ্রামের দক্ষিণ ফসলি মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রামের বাসিন্দা কলেজের অধ্যক্ষ মো.
শুক্রবার দুপুরের মধ্যে জমির সব ধান পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষক। স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে কৃষক ইসাহাক পুড়ে যাওয়া ধান দেখে মাঠেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় সঙ্গে থাকা লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
ভুক্তভোগী কৃষক ইসাহাক আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছয় বিঘা জমির উঠতি বোরো ধানই তাঁর সম্বল ছিল। এ ধান দিয়ে পরিবারের বার্ষিক খোরাকি ও বাড়তি অংশ বিক্রির টাকায় তাঁর সংসার চলে। তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ দেয়নি কেউ। দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফেনী সীমান্তে ৬ চোরাকারবারি আটক
ফেনীর ফুলগাজীতে ভারতীয় মদসহ ছয় চোরাকারবারিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী বসন্তপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. আবদুল করিম (৩০), একই গ্রামের কবির আহম্মদের ছেলে মো. মমিন (২১), নুর আহাম্মদের ছেলে মো. রোমান (২১), রফিকের ছেলে ইমন (২২), আমির হোসেনের ছেলে মো. হানিফ (২৩) ও ফুলগাজী উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের ছবির আহাম্মদের ছেলে রবিউল হক (২৫)।
আরো পড়ুন:
পিয়াইন নদীতে নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
ঢাকার পিলখানায় শুরু হচ্ছে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন
বিজিবি সূত্র জানায়, ফুলগাজী উপজেলার সীমান্তবর্তী বসন্তপুর এলাকায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভারতীয় তিন বোতল মদসহ ছয় মাদক চোরাকারবারিকে আটক করা হয়। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তাদের ফুলগাজী থানার হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযানের সময় ফুলগাজী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, “সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা, মাদকের অবৈধ পাচার ও চোরাচালান রোধসহ অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে বিজিবির অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর নীতি অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/সাহাব/মাসুদ