সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মো. ইসাহাক আলী নামে এক কৃষকের ছয় বিঘা জমির বোরো ধান আগাছানাশক প্রয়োগে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী কৃষক জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের ঘড়গ্রামের দক্ষিণ ফসলি মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রামের বাসিন্দা কলেজের অধ্যক্ষ মো.

আবু তালেব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভুক্তভোগী কৃষক ইসাহাক আলী জানান, ঘড়গ্রামের দক্ষিণ ফসলি মাঠে ছয় বিঘা জমিতে ব্রি-২৯ জাতের ধানের আবাদ করেন তিনি। দুই সপ্তাহের মধ্যে ধানগুলো কাটা যেত। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা জমির উঠতি বোরো ধানগাছে আগাছানাশক প্রয়োগ করে। এতে আধাপাকা ধান নিস্তেজ হয়ে যায়।

শুক্রবার দুপুরের মধ্যে জমির সব ধান পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষক। স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে কৃষক ইসাহাক পুড়ে যাওয়া ধান দেখে মাঠেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় সঙ্গে থাকা লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

ভুক্তভোগী কৃষক ইসাহাক আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছয় বিঘা জমির উঠতি বোরো ধানই তাঁর সম্বল ছিল। এ ধান দিয়ে পরিবারের বার্ষিক খোরাকি ও বাড়তি অংশ বিক্রির টাকায় তাঁর সংসার চলে। তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন।

এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ দেয়নি কেউ। দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ধ নক ষ ত ছয় ব ঘ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান

‘প্রত্যেকটা জেলায় শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য যেমন হাসপাতাল আছে তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সিনেমা হল থাকা দরকার। সুস্থ বিনোদন থাকলে মানুষ নেশা, হানাহানি ও মব জাস্টিস থেকে দূরে থাকবে। আমাদের যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান দরকার তেমনি বিনোদনের জন্য সিনেমা হল দরকার।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘উৎসব’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী শেষে কথাগুলো বলছিলেন নন্দিত অভিনেতা জাহিদ হাসান।

‘উৎসব’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান। চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। শুটিংয়ের বহুদিন পেরিয়ে গেলেও জাহাঙ্গীর চরিত্রের মধ্যে থেকে এখনো বের হতে পারেননি বলেন জানালেন এই অভিনেতা।

জাহিদ হাসান বলেন, ‘এখনো আমি এই চরিত্রটার মধ্যে ডুবে আছি। সিনেমার আমার চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। আসলে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে জাহাঙ্গীর লুকিয়ে আছে। কারণ, আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের মাঝে হিরোইজম আছে, ভিলেন আছে। আছে উপলব্ধি করার ক্ষমতা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের সেই রিয়েলাইজেশনের সময়টা আছে। কখন মৃত্যু হয় আমরা জানি না। এই রিয়েলাইজ যদি আমাদের মধ্যে থাকে তাহলে আজ আমরা যারা জাহাঙ্গীরের মত আছি, কাল আমরা ভালো হয়ে যাবো।’

ঈদের সিনেমা মানেই এখন যেন অ্যাকশন অথবা থ্রিলার। গত কয়েক বছরে ঈদে বাজিমাত করা সিনেমাগুলোর দিকে তাকালে এমনটাই মনে হতে পারে। সেসব থেকে বেরিয়ে হাস্যরস পরিবার এবং সম্পর্কের গল্পে এবার ঈদে বাজিমাত করেছে ‘উৎসব’। এই সফলতার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করলেন প্রত্যেক শিল্পীর সততাকে।

জাহিদ হাসানের কথায়, ‘প্রডাক্টশন বয় থেকে শুরু করে এই সিনেমার সঙ্গে আমরা যারা যুক্ত ছিলাম তারা প্রত্যেকেই অনেক সৎ ছিলাম। অভিনয় নিয়ে কোনো অসৎ অবস্থার মধ্যে আমরা যাইনি। এটাই মনে হয় আমাদের সফলতার বড় বিষয়। এই সিনেমার প্রত্যেকটি দৃশ্যের সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে আছে।’

করোনা মহামারির পর অভিনয়ে খুব একটা দেখা যায়নি জাহিদ হাসানকে। নির্মাতাদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে খুব একটা কথা হয়নি তার। কারোনার পর ‘উৎসব’-ই তার প্রথম সিনেমা।

তার ভাষ্য, ‘করোনার পর খুব একটা অভিনয় করা হয়নি। আমাকে অভিনয়ে নেওয়া বা না নেওয়াটা নির্মাতাদের দায়িত্ব। বলতে গেলে গত কয়েকবছর সেভাবে সুযোগও আসেনি। ‘উৎসব’ সিনেমার মধ্যে সেই সুযোগটা এলো। অভিনয় করলাম। দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝেছি অনন্ত ফেল করিনি।’

সিনেমার হলের সংখ্যা কম হওয়ায় দেশের সিনেমা সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছচ্ছে না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন জাহিদ হাসান। সেইসঙ্গে জেলা প্রশাসকদের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।

জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমার বাড়ি সিরাজগঞ্জ। আমার বোন ফোন করে বললেন এখানে তো সিনেমা হলে নেই। তাই আমরা সিনেমা দেখতে পারছি না। এই কথা শুনে কষ্ট পেয়েছি। এটা সত্য সিরাজগঞ্জের মত দেশের অনেক বড় শহরে সিনেমা হল নেই। জেলা প্রশাসকসহ দায়িত্বশীল পর্যায়ে যারা আছে তাদের সবাইকে অনুরোধ করবো তারা যেন প্রত্যেকটি জেলায় সিনেমা হলের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়ে তার বাস্তবায়ন করেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ