আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, আগামী তিন দিন মাঝারি থেকে তীব্র তাপদাহের সম্ভাবনা রয়েছে।

তীব্র তাপদাহের সময় শারীরিকভাবে সুস্থ থাকাটা খুব জরুরি। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব নির্দেশনা দিয়েছে, তা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

নগরবাসীর জন্য তীব্র তাপদাহ সংক্রান্ত সতর্কতামূলক বার্তা ডিএনসিসির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হচ্ছে।

শনিবার (১০ মে) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নগরবাসীর উদ্দেশ্য এক বার্তায় এ কথা বলেন। এছাড়া তিনি নিম্নোক্ত নির্দেশনা মেলে চলার জন্য অনুরোধ করেন।

নির্দেশনা-
রোদ এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে দুপুর ১২ ঘটিকা থেকে বিকাল ৪ঘটিকা পর্যন্ত। একান্ত জরুরি কাজে বাইরে যেতে হলে ছাতা ব্যবহার করুন।

প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছায়াযুক্ত স্থানে বিশ্রাম গ্রহণ করুন। সম্ভব হলে মাঝে মাঝে চোখে মুখে পানির ঝাপটা দিন।

হালকা রঙের সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করুন। অতিরিক্ত রোদের মাঝে বেশি সময় ধরে শারীরিক পরিশ্রমী কাজ ও খেলাধুলা থেকে বিরত থাকুন।

সহজে হজম হয়, এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। অসুস্থবোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

পোষা প্রাণী, রাস্তায় থাকা প্রাণী ও পাখিদের জন্য বাড়ির ছাদে, বারান্দায়, বাড়ির সামনে পথের ধারে কিংবা আঙ্গিনায় পানি পান করার ব্যবস্থা রাখুন।

তাপপ্রবাহ চলাকালীন শিশু, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, শ্রমজীবী ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখুন।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর

বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!

কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।

এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)

সম্পর্কিত নিবন্ধ