গরমে সুস্থ থাকতে একগুচ্ছ পরামর্শ ডিএনসিসি প্রশাসকের
Published: 10th, May 2025 GMT
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, আগামী তিন দিন মাঝারি থেকে তীব্র তাপদাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
তীব্র তাপদাহের সময় শারীরিকভাবে সুস্থ থাকাটা খুব জরুরি। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব নির্দেশনা দিয়েছে, তা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
নগরবাসীর জন্য তীব্র তাপদাহ সংক্রান্ত সতর্কতামূলক বার্তা ডিএনসিসির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হচ্ছে।
শনিবার (১০ মে) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নগরবাসীর উদ্দেশ্য এক বার্তায় এ কথা বলেন। এছাড়া তিনি নিম্নোক্ত নির্দেশনা মেলে চলার জন্য অনুরোধ করেন।
নির্দেশনা-
রোদ এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে দুপুর ১২ ঘটিকা থেকে বিকাল ৪ঘটিকা পর্যন্ত। একান্ত জরুরি কাজে বাইরে যেতে হলে ছাতা ব্যবহার করুন।
প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছায়াযুক্ত স্থানে বিশ্রাম গ্রহণ করুন। সম্ভব হলে মাঝে মাঝে চোখে মুখে পানির ঝাপটা দিন।
হালকা রঙের সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করুন। অতিরিক্ত রোদের মাঝে বেশি সময় ধরে শারীরিক পরিশ্রমী কাজ ও খেলাধুলা থেকে বিরত থাকুন।
সহজে হজম হয়, এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। অসুস্থবোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
পোষা প্রাণী, রাস্তায় থাকা প্রাণী ও পাখিদের জন্য বাড়ির ছাদে, বারান্দায়, বাড়ির সামনে পথের ধারে কিংবা আঙ্গিনায় পানি পান করার ব্যবস্থা রাখুন।
তাপপ্রবাহ চলাকালীন শিশু, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, শ্রমজীবী ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখুন।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে নগরবাসী
সিলেটে গতকাল সোমবার রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। জলাবদ্ধতার কারণে ঘরবাড়ি, সড়ক, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় পানি ঢুকেছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ১০১ মিলিমিটার ও সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আরও ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, জেলায় আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের কাজলশাহ, ওসমানী মেডিকেল কলেজ, আখালিয়া, সুবিদবাজার, চৌহাট্টা সিভিল সার্জন কার্যালয়, মেজরটিলা, ইসলামপুর ও দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোড এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় জমে থাকা পানি নামছে ধীরগতিতে।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসেও জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। কলেজের প্রবেশপথ থেকে ক্যাম্পাসজুড়ে হাঁটুসমান পানি। শ্রেণিকক্ষে পানি না ঢুকলেও হাসপাতালের আশপাশে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে শহরের অভ্যন্তরীণ সড়কে যান চলাচল কমেছে। অনেককে ছাতা হাতে প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বের হতে দেখা গেছে।
সিলেটে আজ সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি নামে। ঝুম বৃষ্টির মধ্যে কেউ ছাতা মাথায়, কেউ আবার ভিজেই পথ চলেছেন। মেজরটিলা, সিলেট, ২০ মে