ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৬ জন। এ ভয়াবহ ঘটনায় উপমহাদেশের দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এ উত্তেজনা সীমান্ত ছাড়িয়ে ঢুকে পড়েছে বিনোদনজগতেও। দুই দেশের তারকারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কড়া মন্তব্য করছেন। এরই মধ্যে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন বলিউড অভিনেতা হর্ষবর্ধন রানে। জানিয়েছেন, পাকিস্তানের অভিনেত্রীর সঙ্গে তিনি কাজ করবেন না।

২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া রোমান্টিক বলিউড সিনেমা ‘সনম তেরি কসম’-এ হর্ষবর্ধনের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাওরা হোসেন। সিনেমাটি সম্প্রতি আবার মুক্তি পেয়ে বক্স অফিসে ভালো সাড়া ফেলে। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় নির্মাতারা ভাবছিলেন সিক্যুয়াল তৈরি করার কথা। কিন্তু বর্তমান ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় সিনেমাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। হর্ষবর্ধন রানে জানিয়েছেন, যদি ‘সনম তেরি কসম ২’-এ আগের অভিনেত্রী মাওরা হোসেনকে আবার নেওয়া হয়, তবে তিনি সেই ছবিতে কাজ করবেন না।
হর্ষবর্ধন রানে তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমার দেশের বিরুদ্ধে যেসব মন্তব্য শুনেছি বা পড়েছি, সেগুলোর পর আমি সম্মানের সঙ্গে জানাচ্ছি, যদি আগের অভিনেত্রীদের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা থাকে, আমি এই সিনেমার অংশ হতে পারব না।’

আরও পড়ুন‘ওয়ালিমা’র ছবিতে মাওরা ও আমিরের রসায়ন১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

একই স্টোরিতে তিনি আরও লেখেন, ‘আমি পৃথিবীর যেকোনো দেশের, এমনকি মঙ্গল গ্রহের মানুষ ও শিল্পীদের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আমার দেশের প্রতি অসম্মানজনক কিছু বললে, সেটা আমি কখনো মেনে নেব না। আমার ফলোয়ার কমলেও চলবে, তবু দেশের গর্বে আঘাত সহ্য করব না।’
প্রসঙ্গত ‘সনম তেরি কসম’-এ সরস্বতী ওরফে সারু চরিত্রে মাওরা হোসেনের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। যদিও ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন উঠেছে-সিক্যুয়ালে হয়তো শ্রদ্ধা কাপুরকে নেওয়ার কথা ভাবছেন নির্মাতারা, তবে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে প্রসিটিউশনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় সংগঠিত গণহত্যার মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আজ সোমবার মামলার যাবতীয় মথিপত্র ও সিডিসহ প্রসিকিউশনে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। 

বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। মামলার ওপর দুই আসামি  হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

প্রসিকিউশন বিভাগ তদন্ত সংস্থার দেওয়া প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই ও পুঙ্খানুপুঙ্খানুভাবে পর্যালোচনার পর সেটা আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র (ফরমাল চার্জ) হিসেবে ট্রাইবুনালে দাখিল করবে। 

এ নিয়ে জুলাই আগস্টের ঘটনায় প্রশাসন বিভাগ দ্বিতীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করল। এর আগে চারখারপুলে হত্যা মামলার ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিল তদন্ত সংস্থা। 

বিস্তারিত আসছে...

সম্পর্কিত নিবন্ধ