অস্ত্রবিরতির পর পাঞ্জাবের কেন্দ্রীয় শহর অমৃতসরে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে আসলেও শহরটিতে রেড অ্যালার্ট জারি রেখেছে জেলা প্রশাসক। কেননা নয়াদিল্লির অভিযোগ, ভারতের ভূখণ্ডে পাকিস্তান হামলা অব্যাহত রেখেছে।   

রোববার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, গতকাল রাতে ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরে জোরে সাইরেন শোনা যায়। এরপরই রোববার ভোরে জেলা প্রশাসক সাক্ষী সাহনী রেড অ্যালার্ট জারি করেন।

বিবিসি জানায়, অমৃতসরে আপাতত বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে এসেছে, তবে জেলাটি এখনও রেড অ্যালার্টের আওতায় রয়েছে।

জনগণকে তাদের বাড়ি থেকে বের না হতে, নিজেদের বাড়ির ভেতরে থাকা এবং জানালা থেকে দূরে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক জানান, পরিস্থিতি যখন সম্পূর্ণ নিরাপদ হবে, প্রশাসন গ্রিন সিগন্যাল বা সবুজ সংকেত দেবে। দয়া করে আতঙ্কিত হবেন না, শান্তি বজায় রাখুন এবং প্রশাসনের সমস্ত নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।

গত বেশ কয়েকদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ চলার পর ১০ মে সন্ধ্যায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তি হয়। তবে অস্ত্রবিরতি চুক্তি হলেও দুই দেশ পাল্টাপাল্টি চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ করে কয়েক ঘণ্টা পরেই।  

এর আগে ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমছে না। দুদেশের মধ্যে এ উত্তেজনার শুরু ২২ এপ্রিল। সেদিন পেহেলগামে বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। তবে তা নাকচ করেছে পাকিস্তান। এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান ও দেশটির নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে অভিযান চালায় ভারত। ওই রাতেই দেশটির পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করে পাকিস্তান।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চীন সফরের সে দিনগুলোর কথা এখনও মনে পড়ে: খুরশীদ আলম

বরেণ্য সংগীতশিল্পী, গবেষক ও লেখক মুস্তাফা জামান আব্বাসী না ফেরার দেশে চলে গেছেন। আজ দুপুরে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও বরেণ্য সংগীতশিল্পী মো. খুরশীদ আলম।

তিনি বলেন, ‘মুস্তাফা জামান আব্বাসীর চলে যাওয়া সংগীত জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। কারণ, তিনি শুধু অনবদ্য কণ্ঠশিল্পী ছিলেন না, একই সঙ্গে ছিলেন সংগীত গবেষক, উপস্থাপক, লেখক, পরিচালক– এক কথায় দেশীয় সংস্কৃতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব। কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি কিংবদন্তি মরমী শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের সুযোগ্য উত্তরসূরি।’

খুরশীদ আলম আরও বলেন, ‘বড় মাপের এ সাংস্কৃতিককে কখনও মনে অহম ভর করতে দেখিনি। মানুষটি ছিলেন খুবই সহজ-সরল। আমরা যারা অনুজ তাদের সঙ্গেও অনায়াসে মিলেমিশে গান গাইতেন।’

স্মৃতিচারণ করে করে খুরশীদ আলম বলেন, ‘এখনও মনে পড়ে, তাঁর সঙ্গে চীন সফরের সে দিনগুলোর কথা। সেটি ছিল ১৯৭৭ সাল। আমার প্রথম বিদেশ সফর। সেখানে গিয়ে কীভাবে কী করব, তা নিয়ে কিছুটা ভয় ছিল। কিন্তু আব্বাসী ভাইয়ের সঙ্গে মেশার পর সব ভয়-সংকোচ মুহূর্তেই কেটে গিয়েছিল। আমরা তাঁর সঙ্গে দল বেঁধে কোরাস গানও গেয়েছি। তিনি লোকসংগীতে যেমন অতুলনীয়, তেমনি ইসলামী গান বিশেষ করে হামদ-নাতেও ছিলেন দারুণ পারদর্শী। নানা বিষয়ে প্রচুর পড়াশোনা যেমন ছিল, তেমনি ছিল অগাধ জ্ঞান।’

খুরশীদ আলমের কথায়, ‘সবকিছু মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সংস্কৃতি অঙ্গনের মহিরুহ; যার শূন্যতা কখনও পূরণ হবে না। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা, যেখানে থাকুন, তাঁর আত্মা যেন শান্তিতে থাকে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এখনও গায়েবি মামলা ও মৃত ব্যক্তিকে আসামি করা হচ্ছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
  • অভিযান এখনও চলছে: ভারতীয় বিমানবাহিনী
  • কীভাবে বুকের এই কষ্ট চেপে রাখব: পূজা চেরি
  • ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব পুতিনের
  • আমি জানি, তুমি আমাকে দেখছ
  • চীন সফরের সে দিনগুলোর কথা এখনও মনে পড়ে: খুরশীদ আলম
  • হিলি বাজারে উঠেছে অপরিপক্ক লিচু, কিনছেন অনেকেই 
  • সন্দেহপ্রবণ নারী চরিত্রে এই প্রথম অভিনয়
  • প্রতিযোগীদের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ