নোয়াখালীতে মাঝারি তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন
Published: 11th, May 2025 GMT
মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীতে। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে গরমের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া লোকজন। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আরও কয়েক দিন এ ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা তিনটায় জেলা শহর মাইজদীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
মাঝারি তাপপ্রবাহের কারণে শহরে মানুষজনের চলাচল কমে গেছে। প্রধান সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও অন্য দিনের তুলনায় কম। মানুষজন একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শহরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বেচাকেনা কমে গেছে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা।
গরমের কারণে সড়কে কমে গেছে যানবাহনের চলাচল। আজ বিকেল সাড়ে তিনটায় শহরের জামে মসজিদ মোড়েউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের
বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও দেশটির নহাভা শেভা সমুদ্র বন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে।
তবে এভাবে একের পর এক পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দরে পণ্যের জোগান কমতে শুরু করেছে। এতে হতাশায় ভুগছেন বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী সমকালকে বলেন, পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে একের পর এক নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় হতাশায় ভুগছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব অজয় ভাদু স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত দ্রব্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, ভারতের অনেক ছোট ছোট আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে পার্ট ও পাটজাত দ্রব্য আমদানি করতো। এসব ছোট আমদানিকারকরা সমুদ্রপথে এ পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হবেন।
বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন অনেক পাট ও পাটজাত দ্রব্য ভারতে রপ্তানি হয়। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হঠাৎ করে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় অনেক ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়বে।