শাহ আমানতে ৩০ হাজার দিরহামসহ যাত্রী আটক
Published: 11th, May 2025 GMT
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩০ হাজার দিরহাম, ১০টি চোরাই মোবাইল ফোন ও সুতার কার্টুনসহ মো. সাঈম নওয়াজ নামের এক যাত্রীকে আটক করেছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বহির্গমন গেট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এনএসআই এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটক সাঈম নওয়াজের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। তিনি বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৬১৬ ফ্লাইটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে দুবাই যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি করে ৩০ হাজার ইউএই দিরহাম উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায়া প্রায় ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা (প্রতি দিরহাম ৩৩ টাকা ধরে)।
এ ছাড়া আইফোন ও স্যামসাংয়ের ১০টি স্মার্টফোন, যার বাজারমূল্য প্রায় ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং আনুমানিক দুই লাখ টাকার দুটি সুতার কার্টুন উদ্ধার করা হয়েছে।
বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৭ হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বহন করতে পারেন। এই সীমা অতিক্রম করায় তার সঙ্গে থাকা সব বৈদেশিক মুদ্রা আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন কাস্টমসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। এই কর্মকর্তা জানান, আটক সাঈম নওয়াজ মধ্যপ্রাচ্যে নিয়মিত যাতায়াত করেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান
‘প্রত্যেকটা জেলায় শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য যেমন হাসপাতাল আছে তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সিনেমা হল থাকা দরকার। সুস্থ বিনোদন থাকলে মানুষ নেশা, হানাহানি ও মব জাস্টিস থেকে দূরে থাকবে। আমাদের যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান দরকার তেমনি বিনোদনের জন্য সিনেমা হল দরকার।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘উৎসব’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী শেষে কথাগুলো বলছিলেন নন্দিত অভিনেতা জাহিদ হাসান।
‘উৎসব’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান। চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। শুটিংয়ের বহুদিন পেরিয়ে গেলেও জাহাঙ্গীর চরিত্রের মধ্যে থেকে এখনো বের হতে পারেননি বলেন জানালেন এই অভিনেতা।
জাহিদ হাসান বলেন, ‘এখনো আমি এই চরিত্রটার মধ্যে ডুবে আছি। সিনেমার আমার চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। আসলে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে জাহাঙ্গীর লুকিয়ে আছে। কারণ, আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের মাঝে হিরোইজম আছে, ভিলেন আছে। আছে উপলব্ধি করার ক্ষমতা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের সেই রিয়েলাইজেশনের সময়টা আছে। কখন মৃত্যু হয় আমরা জানি না। এই রিয়েলাইজ যদি আমাদের মধ্যে থাকে তাহলে আজ আমরা যারা জাহাঙ্গীরের মত আছি, কাল আমরা ভালো হয়ে যাবো।’
ঈদের সিনেমা মানেই এখন যেন অ্যাকশন অথবা থ্রিলার। গত কয়েক বছরে ঈদে বাজিমাত করা সিনেমাগুলোর দিকে তাকালে এমনটাই মনে হতে পারে। সেসব থেকে বেরিয়ে হাস্যরস পরিবার এবং সম্পর্কের গল্পে এবার ঈদে বাজিমাত করেছে ‘উৎসব’। এই সফলতার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করলেন প্রত্যেক শিল্পীর সততাকে।
জাহিদ হাসানের কথায়, ‘প্রডাক্টশন বয় থেকে শুরু করে এই সিনেমার সঙ্গে আমরা যারা যুক্ত ছিলাম তারা প্রত্যেকেই অনেক সৎ ছিলাম। অভিনয় নিয়ে কোনো অসৎ অবস্থার মধ্যে আমরা যাইনি। এটাই মনে হয় আমাদের সফলতার বড় বিষয়। এই সিনেমার প্রত্যেকটি দৃশ্যের সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে আছে।’
করোনা মহামারির পর অভিনয়ে খুব একটা দেখা যায়নি জাহিদ হাসানকে। নির্মাতাদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে খুব একটা কথা হয়নি তার। কারোনার পর ‘উৎসব’-ই তার প্রথম সিনেমা।
তার ভাষ্য, ‘করোনার পর খুব একটা অভিনয় করা হয়নি। আমাকে অভিনয়ে নেওয়া বা না নেওয়াটা নির্মাতাদের দায়িত্ব। বলতে গেলে গত কয়েকবছর সেভাবে সুযোগও আসেনি। ‘উৎসব’ সিনেমার মধ্যে সেই সুযোগটা এলো। অভিনয় করলাম। দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝেছি অনন্ত ফেল করিনি।’
সিনেমার হলের সংখ্যা কম হওয়ায় দেশের সিনেমা সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছচ্ছে না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন জাহিদ হাসান। সেইসঙ্গে জেলা প্রশাসকদের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।
জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমার বাড়ি সিরাজগঞ্জ। আমার বোন ফোন করে বললেন এখানে তো সিনেমা হলে নেই। তাই আমরা সিনেমা দেখতে পারছি না। এই কথা শুনে কষ্ট পেয়েছি। এটা সত্য সিরাজগঞ্জের মত দেশের অনেক বড় শহরে সিনেমা হল নেই। জেলা প্রশাসকসহ দায়িত্বশীল পর্যায়ে যারা আছে তাদের সবাইকে অনুরোধ করবো তারা যেন প্রত্যেকটি জেলায় সিনেমা হলের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়ে তার বাস্তবায়ন করেন।’