জাবিতে ৯ বাস আটক, ছেড়ে দেওয়ার মধ্যস্থতাকারীদের নিয়ে ধোঁয়াশা
Published: 12th, May 2025 GMT
হাফ ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী নীলাচল পরিবহনের ৯টি বাস আটকে রেখে আবার ছেড়ে দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একদল শিক্ষার্থী। তবে বাসগুলো ছেড়ে দিতে মধ্যস্থতাকারীরা টাকা খেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মহাসড়কের দুপাশে বাসগুলো আটকে চাবি নিয়ে যান শহীদ সালাম-বরকত হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেন তাঁরা।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৫১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শহীদ সালাম-বরকত হলের আবাসিক ছাত্র কামরুল হাসান রোববার সকালে মানিকগঞ্জের উথুলী এলাকায় যাওয়ার জন্য ক্যাম্পাসের সামনে থেকে নীলাচল পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। গন্তব্যস্থলের ভাড়া বাবদ ১২০ টাকার স্থলে তিনি হাফ ভাড়া ৬০ টাকা দিতে চাইলে বাসচালকের সহকারী ১০০ টাকা দিতে বলেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। কামরুলের ভাষ্য, তাঁর সঙ্গে ওই সহকারী খারাপ আচরণ করেছিলেন। পরে কামরুল পুরো ভাড়া দিয়ে বাস থেকে নেমে যান এবং ক্যাম্পাসে ফিরে হলের সহপাঠীদের নিয়ে ওই বাসগুলো আটক করেন। পরে বাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে রাত নয়টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেন তাঁরা।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও আটক হওয়া বাসচালকদের সূত্রে জানা গেছে, বাস আটকের পর নীলাচল পরিবহনের চেকার মো.
চেকার ফয়সাল চাবিগুলো নিয়ে বাসের চালকদের বুঝিয়ে দেওয়ার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দুজন সহকারী প্রক্টর ও ক্যাম্পাসের সাংবাদিকেরা। এ সময় সহকারী প্রক্টরেরা বিষয়টি কীভাবে সমাধান হলো জানতে চান ফয়সালের কাছে। তখন ফয়সাল অসামঞ্জস্য কথা বলতে থাকেন। ওই ১৬ হাজার টাকা কাদের দেওয়া হয়েছে—এমন তথ্য জানতে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বললে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় একটি বাস উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে নিয়ে যান এবং বাসের যেসব প্রতিনিধি রোববার ক্যাম্পাসে এসেছিলেন তারা আবার ক্যাম্পাসে এসে প্রশাসনের কাছে ঘটনার রহস্য জানানোর দাবি তোলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, চেকার ফয়সাল, বেলালসহ নীলাচল বাসের প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে ছাত্রদলের নেতা নবীনুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে হেঁটে হেঁটে চলে যান। এ সময় শহীদ মিনার এলাকায় শাখা ছাত্রদলের সদস্য মেহেদি হাদান ইমনসহ (৪৯ ব্যাচ) কয়েকজন ছাত্রদল নেতা-কর্মীকে দেখা যায়।
এ বিষয়ে নবীনুর রহমান বলেন, ‘একটি ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বাস আটকে রেখেছিল। সেটা নিয়ে আমার পূর্বপরিচিত বেলালসহ কয়েকজন ক্যাম্পাসে আসেন। আমি তখন তাদের বলি শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ করে সমাধান করতে। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে দুঃখ প্রকাশ করে অনুরোধ জানালে তারা বাসগুলো ছেড়ে দেন। টাকা-পয়সার লেনদেনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘বাস আটকের ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তারা বাস ছেড়েও দিয়েছে। তবে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা জানতে পেরেছি, বাস কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে এসে আমাদের না জানিয়ে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেছে। যেখানে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা অসামঞ্জস্যতা তথ্য পেয়েছি। সোমবার বাস কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ব স আটক ব ষয়ট সহক র ফয়স ল
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন স্থগিত
আগামী ২২ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন স্থগিত করেছেন আদালত।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র সহকারী জজ তাহমিনা আফরোজ তানি নির্বাচন স্থগিত করে রায় দেন। রবিবার (১০ আগস্ট) সাইফুল ইসলাম স্বপন ও হাসেম আহাম্মেদ ছিদ্দিকি বাদী হয়ে নির্বাচন স্থগিতের আবেদন করেন।
সোমবার মামলার শুনানি করেন আইনজীবী আখতারুজ্জামান। তাকে সহযোগিতা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, বিশেষ পিপি রুবি ও আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা আতাহার আলী।
আরো পড়ুন:
পুরো আসনের ফল বাতিল করতে পারবে ইসি, ফিরছে ‘না’ ভোট
পুলিশকে রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান
মামলার প্রধান আইজবীবী আখতারুজ্জামান জানান, বাদীপক্ষ আদালতে অভিযোগ করেন চেম্বারের অধিকাংশ ভোটার ভুয়া। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে এই সংক্রান্ত রায় দেন। রায়ে বিচারক ত্রুটিযুক্ত ভোটার তালিকা ঠিক করা না পর্যন্ত ওই নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে আদালত চেম্বার সভাপতি আরিফ হোসেন, চেম্বার সচিব হারুণ অর রশিদ, এই নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম রকিব, বাছাই কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এম কে মোরাদুজ্জামানকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছেন। এর ফলে নয় বছর পর চেম্বার নির্বাচনের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা স্থগিত হয়ে গেল।
ঢাকা/তারিকুল/বকুল