আ.লীগ নিষিদ্ধের কারণে মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে: প্রেস সচিব
Published: 12th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার কারণে দেশের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ১৪০০ মানুষকে হত্যার তথ্য উঠে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের হিসাবে এই সংখ্যা আরো বেশি। কিন্তু আওয়ামী লীগের মধ্যে এ নিয়ে কোনো অনুশোচনা নেই। তাদের সময় তারা যে কাউকে জঙ্গি বানিয়েছে।”
শফিকুল আলম বলেন, “আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ‘সর্বজনীন স্বীকৃত’। এ বিষয়টি সবাই গ্রহণ করেছে, ইউনিভার্সালি অ্যাকসেপ্টেড। দু-একটি দল-মতে ভিন্নতা থাকতে পারে। সেটা কোনো বিষয় নয়। নিষিদ্ধের বিষয় নিয়ে আমরা সব দলের সঙ্গেই কথা বলেছি।”
প্রেস সচিব বলেন, “আওয়ামী লীগ লুট করেছে, খুন-গুম করেছে। সাড়ে তিন হাজার মানুষ গুম হয়েছেন। ধরে নিয়ে আয়নাঘরে কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বাচ্চারাও মুক্তি পায়নি। তারা মানুষের সব অধিকার খর্ব করেছে। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এটা তাদের নিষিদ্ধ হওয়ার বড় কারণ।”
তিনি বলেন, “মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ যে কী পরিমাণ লুটপাট করেছে সেটা আপনারা জানেন। একটি কোম্পানি ৭৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। একজন কবিতা পাঠ করেন ওই দলের, তিনিও ফারমার্স ব্যাংক থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে গেছেন। এভাবে দেশের বিশাল সম্পদ লুট হয়েছে।”
সংবাদ কর্মীদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সফিকুল আলম বলেন, “সংবাদ কর্মীদের সুবিধার বিষয়ে ইউনিয়নগুলোর কথা বলা উচিত। তারা মালিকদের সঙ্গে কথা বলবে। কিন্তু আমাদের ইউনিয়নগুলো গত ১৫ বছরে পূর্বাচলের প্লট নিয়ে ব্যস্ত ছিল। সাংবাদিকদের তারা ভয়াবহভাবে ঠকিয়েছে।”
তিনি বলেন, “একটা আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা তথ্য চুরি করে অন্য পত্রিকা থেকে। তারপর সেটা ছাপিয়ে দেয়। এটা ভালো সাংবাদিকতা হতে পারে না। সাংবাদিকদের বেতন ৩০ হাজার টাকার নিচে হতে পারে না। বেতন দিতে না পারলে পত্রিকা বন্ধ করে দেন।”
মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন সোহেলসহ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রায়হান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হাতিরঝিলে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ৭০ বছর বয়সী নারীর মৃত্যু
রাজধানীর হাতিরঝিলে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ৭০ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম বেলী বেগম (৭০)। তিনি পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করতেন। পাশাপাশি পানি বিক্রি করতেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাতিরঝিলের বেগুনবাড়ি অংশে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বেলী বেগম গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
একই ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক মো. ফয়সাল (১৮) আহত হন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।