মঙ্গলবার দিনব্যাপী কবি সুকান্ত মেলা, প্রস্তুতি সম্পন্ন
Published: 12th, May 2025 GMT
আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে কবি সুকান্ত মেলা। ইতোমধ্যে মেলার সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে কোটালীপাড়া উপজেলা প্রশাসন। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া গ্রামে সুকান্তের পৈত্রিক ভিটায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করবেন।
মেলায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও থাকবে দেশের নামি-দামি শিল্পীর অংশ গ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বসবে গ্রামীণমেলা। এ মেলাকে ঘিরে উপজেলায় বইছে উৎসবের আমেজ। উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী কবির বাড়ি মনিটরিং করছেন।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে জামাই মেলায় দর্শনার্থীদের ঢল
মহেশপুরে চড়ক পূজায় পুণ্যার্থীদের ঢল
শেখ হাসিনা আদর্শ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক কবি মিন্টু রায় বলেন, ‘‘প্রতি বছরই সুকান্ত মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দেশ বরণ্য কবি, লেখক, সাহিত্যিকদের আড্ডা বসে। আশা করছি, এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। এ মেলায় এসে কবি সাহিত্যিকরা তাদের প্রাণ খুলে কথা বলতে পারেন। তাদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। এ জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হক বলেন, ‘‘স্থানীয় সুধীজনদের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন এ মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা মেলার সকল আয়োজন শেষ করেছি। আমি চাইবো, প্রশাসন ও এলাকাবাসী যেন আগামীতে কবির স্মৃতিকে ধরে রাখা এবং কবির জন্য মেলাটি আরো বর্ণাঢ্যভাবে আয়োজন করে। এছাড়া কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আদর্শ বর্তমান যুব সমাজের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমাদের আরো নানামুখী উদ্যোগ নিতে হবে।’’
১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কবি সুকান্ত ভট্রাচার্য্য কলিকাতার কালীঘাটের মহিমা হালদার স্ট্রিটে মামা বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নিবারণ ভট্টাচার্য্য। মা সুনীতি দেবী। ১৯৪৭ সালের ১৩ মে মাত্র ২১ বছর বয়সে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য মারা যান। ছাড়পত্র, ঘুম নেই, পূর্বাভাস, অভিযান, হরতাল- তার প্রধান কাব্যগ্রন্থ। কবির প্রতিটি কবিতায় অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বণিত হয়েছে।
ঢাকা/বাদল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ল র খবর অন ষ ঠ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।