রাজধানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ফারিয়া হক টিনাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার তাকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ।

আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান।

এর আগে শুক্রবার (৯ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম টিনার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এর আগে ৮ মে রাত ৮টায় ভাটারার জগন্নাথপুর এলাকা থেকে টিনাকে গ্রেপ্তা‌র করে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তা‌র করেছে পুলিশ। ২ আসামি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলার প্রধান আসামি ও জবানবন্দি দেওয়া আসামিসহ মোট ৬ জন বর্তমানে কারাগারে আছে।

টিনার রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে গ্রেপ্তার আসামি মাহাদী হাসান ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে আসামি টিনার নাম উল্লেখ করেছেন। তদন্তের স্বার্থে টিনাকে রিমান্ডে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা প্রয়োজন।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল নিহতের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ এপ্রিল প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ মিডটার্ম পরীক্ষা দিতে যায়। পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে পুরী-সিংগারার দোকানে আড্ডা ও হাসাহাসি করছিল। বিকাল ৩টায় আসামি ১ থেকে ৩ নাম্বার আসামি তার কাছে হাসাহাসির কারণ জানতে চাওয়ার উভয়ের মাঝে তর্ক শুরু হয়। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকসহ প্রক্টর মীমাংসা করেন। বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা ছুরি, চাকু, চাপাতি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পারভেজ ও তার বন্ধুদের ওপর হামলা করে। এতে পারভেজ মারাত্মক আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নটর ডেম কলেজ ভবন থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজধানীর নটর ডেম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ধ্রুবব্রত দাস (১৮) মারা গেছেন। কলেজ ‘ভবনের বারান্দা থেকে পড়ে’ তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা শিক্ষার্থীদের। সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ধ্রুব পরিবারের সঙ্গে গোপীবাগের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদর মধ্যপাড়ায়। 

মৃত শিক্ষার্থীর বাবা বাণীব্রত দাস জানান, ধ্রুব এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তার প্রবেশপত্র আনার জন্য ছেলের সঙ্গে কলেজে যান তিনি। ছেলেকে ভেতরে পাঠিয়ে দিয়ে তিনি আর ধ্রুবর মা কলেজগেটের বাইরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু একটু পর কয়েকজন শিক্ষার্থী ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ধরাধরি করে নিয়ে আসে বাইরে। তাকে প্রথমে কাছের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

মতিঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ