পাকিস্তান-ভারতের যুদ্ধ চলমান। দেশটির জাতীয় এই ইস্যু নিয়ে বলিউডের অনেক তারকা তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। অনেকে নীরব। তবে যারা বক্তব্য দিয়েছেন, তার অধিকাংশই সরকারের পক্ষে। তবে বলিউড তারকাদের সরকারবিরোধী কথা বলতে দেখা যায় না বললেই চলে!

হিন্দি চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব জাভেদ আখতার। ব্যক্তিগত জীবনে সোজাসাপ্টা কথা বলতেই অভ্যস্ত। বলিউড তারকাদের সরকারবিরোধী কথা না বলার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন এই বরেণ্য ব্যক্তিত্ব।

কপিল শিবালের পডকাস্টে অতিথি হয়ে জাভেদ আখতার বলেন, “আপনি কি সত্যিটা জানতে চান? হয়তো কল্পনাও করতে পারবেন না এমনটা কেন হয়। আসলে শিল্পীরা তো বিখ্যাত। ব্যাপারটা হলো, এদের অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন একটা ভালো না। পুরো চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি একজন মধ্যবিত্ত শিল্পপতির পকেটে। যাদের টাকা আছে, তারা কেউ কি কথা বলবেন? জানেন কি কেন কথা বলবেন না?”

আরো পড়ুন:

কথা বলতে সমস্যা, কানেও কম শুনেন সাইফপুত্র ইব্রাহিম

‘গোবিন্দ আমাকে ছাড়া বাঁচবে না’

তাহলে কি ইডির ভয়ে তারকাদের এমন আচরণ? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে জাভেদ আখতার বলেন, “মেরিল স্ট্রিপও আমেরিকায় অস্কারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সরকারবিরোধী কথা বলেছিলেন। তারপরও অভিনেত্রীর বাড়িতে কোনো আয়কর টিম হানা দেয়নি। তাহলে আমাদের দেশের শিল্পীদের ক্ষেত্রে এই ভয় সত্যি কি না, আমি সেই বিতর্কে যাব?”

“কারো মনে এই ভয় থাকলে, সে ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্সের অভিযানের ভয় পাবেন। তাহলে তাদের ফাইল ওপেন হবে, তদন্ত হবে।” বলেন জাভেদ আখতার।

চলচ্চিত্রে কাজ করলেও শিল্পীরা সমাজের জন্য কাজ করতে চান না। এ তথ্য উল্লেখ করে জাভেদ আখতার বলেন, “শিল্পীরা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন ঠিকই। কিন্তু তারা এই সমাজের জন্য কোনো কাজ করতে রাজি নন।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র জ ভ দ আখত র চলচ চ ত র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-সংলগ্ন মিরপুর সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে এই চিত্র দেখা যায়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

দুপুরের দিকে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আছেন র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা। তাঁরা শক্ত অবস্থানে আছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরের দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনের মিরপুর সড়কে দুটি এক্সকাভেটর দেখা যায়।

পরে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এক্সকাভেটর ঢোকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করে।

কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের অন্তত এক সদস্য আহত হন।

আরও পড়ুনএক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ৪ ঘণ্টা আগে

পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড মেরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

বেলা পৌনে ২টার দিকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাঁদের আবার ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

বিক্ষোভকারীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা এবং তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিউমার্কেট থেকে মিরপুরমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুনরায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন৫ ঘণ্টা আগে

বিক্ষোভকারীরা পুরোপুরি সরে না যাওয়ায়, বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে আসার চেষ্টা করায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক দুপুরে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনোমতে কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।’

গত ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুনআড়াই ঘণ্টা ধরে পড়া হলো রায়, এরপর এল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ