খোলার এক দিন পরই ৮ বিমানবন্দরে উড্ডয়ন বন্ধ রেখেছে এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো
Published: 13th, May 2025 GMT
ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর গতকাল সোমবার খুলে দেওয়া হলেও আজ মঙ্গলবার সকালে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী আটটি বিমানবন্দরে উড্ডয়ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো।
আজ সাতসকালেই ওই দুই বিমান পরিষেবা সংস্থা এ ঘোষণা দিয়েছে। সংস্থা দুটি জানিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে এখনো চিন্তিত বলেই এ সিদ্ধান্ত নিতে তারা বাধ্য হয়েছে। তাদের কাছে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবচেয়ে জরুরি।
এয়ার ইন্ডিয়া জানায়, আজ তাদের কোনো উড়োজাহাজ জম্মু, লেহ, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, যোধপুর, জামনগর ও রাজকোট থেকে ছাড়বে না, নামবেও না। ইন্ডিগোও একই কথা জানিয়ে বলেছে, শ্রীনগর, জম্মু, লেহ, অমৃতসর, চণ্ডীগড় ও রাজকোটে তাদের কোনো বিমান ওঠানামা করবে না।
পেহেলগামকাণ্ডের জবাবে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করার পর সীমান্তবর্তী ৩২টি বিমানবন্দর ১৫ মে পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আচমকা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হওয়ায় সোমবার বিমানবন্দরগুলো খুলে দেওয়া হয়।
দুই বিমান পরিষেবা সংস্থাই জানিয়েছে, বিদ্যমান পরিস্থিতি তাদের এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। তাদের কাছে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবচেয়ে জরুরি। তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।আরও পড়ুনভারতের বন্ধ বিমানবন্দর আবার চালু১৯ ঘণ্টা আগেযুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সীমান্তবর্তী কোনো কোনো এলাকায় পাকিস্তানের দিক থেকে ড্রোন আসার খবর পাওয়া গেছে। তারপরই এ সাবধানতা।
বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর একটি উড়োজাহাজ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইন ড গ
এছাড়াও পড়ুন:
৩০ হাজার টাকায় সেরা স্মার্টফোন, কিনবেন কীভাবে
জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে স্মার্টফোন। কারণ, স্মার্টফোনে প্রয়োজনীয় অনেক কাজ করা যায়। ছবি থেকে ভিডিও এডিটিংসহ সব ধরনের যোগাযোগ, বিনোদন, শিক্ষা ও পেশাগত কাজে স্মার্টফোনের ব্যবহার বেড়েছে। ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাওয়া যায়।
এ ধরনের স্মার্টফোন কেনার আগে ব্যবহারকারীরা এর ব্যাটারি, ক্যামেরা, ডিসপ্লে, প্রসেসরসহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেখে কেনেন। দেশের বাজারে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে স্যামসাং, হুয়াওয়ে, অনর, নকিয়া, মটোরোলা, আইকিউ, রেডমি, রিয়েলমি, অপো, ভিভো, ইনফিনিক্স, নাথিং ফোনসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাওয়া যায়।
কেনার আগে যা ভাবা দরকার
ভালো ফোন কেনার জন্য প্রথমেই নিজের বাজেট ঠিক করা দরকার। এর পাশাপাশি ফোনটি মূলত কোন কাজে বেশি ব্যবহার হবে, তা–ও চিন্তা করতে হবে। যেমন কেউ যদি ছবি তুলতে চান, তাহলে ভালো ক্যামেরা দরকার, কেউ গেমস খেলতে চাইলে শক্তিশালী প্রসেসর ও র্যাম প্রয়োজন। আর কেউ যদি দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য কিনতে চান, তাঁর প্রয়োজন ভালো ব্যাটারি ও ডিসপ্লে।
বাজেট অনুযায়ী, বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলের ফোন পাওয়া যায়। তাই কয়েকটি ফোনের বৈশিষ্ট্য ও মূল্য তুলনা করে দেখাই বুদ্ধিমানের কাজ। ফোন কেনার আগে ইউটিউব রিভিউ, টেক ব্লগ ও ব্যবহারকারীদের মতামত খতিয়ে দেখা উচিত। এর ফলে সেই ফোনের বাস্তব ব্যবহারিক দিক জানা যায়। এ ছাড়া ফোনের আসল বা নকল হওয়া যাচাই করার জন্য আইএমইআই (IMEI) নম্বর যাচাই করা জরুরি। এর সঙ্গে অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি ও বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যায় কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে।
ফোন কেনার সময় বিশ্বস্ত শোরুম বা অফিশিয়াল অনলাইন স্টোর থেকে কেনা উত্তম। এর ফলে বিক্রয়োত্তর সেবা যেন সহজে পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করলে ফোন ব্যবহারে ঝামেলা কম হবে।
বাজেটের মধ্যে যেসব ব্র্যান্ড
বাজারে এই বাজেটে স্যামসাং, শাওমি, রিয়েলমি ইত্যাদির বেশ কিছু মডেল রয়েছে। তবে সফটওয়্যার আপডেটের নিশ্চয়তা, ব্যাটারির ক্ষমতা, প্রসেসরের পারফরম্যান্স ও বিক্রয়োত্তর সেবা—এসব দিক বিবেচনায় স্যামসাং গ্যালাক্সি এ১৬ ৫জি, অনর এক্স ৮সি, ভিভো ভি৫০ লাইট ৪জি, শাওমি রেডমি নোট ১৪ প্রো ৪জি, অপো এ৫ প্রো, নাথিং সিএমএফ ফোন ২ প্রো, স্যামসাং গ্যালাক্সি এ২৬, ভিভো ওয়াই ৩৫, রিয়েলমি নারজো ৬০ ৫জি, স্যামসাং গ্যালাক্সি এম ১৪ ৫জি, শাওমি রেডমি নোট ১২ ও মটোরোলা মটো জি৭৩ ৫জিসহ বেশ কয়েকটি ফোন পাওয়া যায়।
ফোনের মধ্যে যত পার্থক্য
স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে ‘অফিশিয়াল’ও ‘আনঅফিশিয়াল’ ফোনের মধ্যে পার্থক্য বুঝে নেওয়া জরুরি। অফিশিয়াল ফোন সাধারণত ব্র্যান্ডের নিজস্ব শোরুম বা অনুমোদিত ডিলারের কাছে পাওয়া যায়। যেখানে ফোনের সঙ্গে এক বছর কিংবা তার বেশি ওয়ারেন্টি ও বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যায়। অন্যদিকে আনঅফিশিয়াল ফোন মূলত বিভিন্ন মাধ্যমে শুল্ক–কর ফাঁকি দিয়ে দেশে আসে। আনঅফিশিয়াল ফোন তুলনায় দাম কম হলেও এতে ব্র্যান্ডের অফিশিয়াল ওয়ারেন্টির মতো সুবিধা পাওয়া যায় না।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ই–কমার্স প্ল্যাটফর্ম, যেমন দারাজ, পিকাবো, স্টার টেক ও গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার বিভিন্ন উৎসবে ও বিশেষ ক্যাম্পেইনের সময়ে ছাড়, ক্যাশব্যাক ও বিশেষ অফার থাকে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করলে অতিরিক্ত ছাড় বা কিস্তিতে কেনার সুবিধা (ইএমআই) পাওয়া যায়।
বিক্রয়োত্তর সেবা
স্যামসাং দেশের প্রায় সব বড় শহরে উন্নত সার্ভিস সেন্টার ও গ্রাহক সেবা দিয়ে থাকে। এ ছাড়া শাওমি ও রিয়েলমির নিজস্ব সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। অফিশিয়াল ফোনে ব্র্যান্ডের এক বছরের ওয়ারেন্টি থাকে, যা সার্ভিস সেন্টারে কার্যকর হয়। যেখানে আনঅফিশিয়াল ফোনে সাধারণত বিক্রেতার দেওয়া ৭ থেকে ১৫ দিনের প্রতিস্থাপন ওয়ারেন্টি বা সীমিত সার্ভিস ওয়ারেন্টি পাওয়া যায়। বাজারের দাম, অফার ও বিক্রয়োত্তর সেবা ভালোভাবে যাচাই করলে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে সাশ্রয়ী দামে ভালো ফোন পাওয়া সম্ভব।