ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর গতকাল সোমবার খুলে দেওয়া হলেও আজ মঙ্গলবার সকালে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী আটটি বিমানবন্দরে উড্ডয়ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো।

আজ সাতসকালেই ওই দুই বিমান পরিষেবা সংস্থা এ ঘোষণা দিয়েছে। সংস্থা দুটি জানিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে এখনো চিন্তিত বলেই এ সিদ্ধান্ত নিতে তারা বাধ্য হয়েছে। তাদের কাছে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবচেয়ে জরুরি।

এয়ার ইন্ডিয়া জানায়, আজ তাদের কোনো উড়োজাহাজ জম্মু, লেহ, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, যোধপুর, জামনগর ও রাজকোট থেকে ছাড়বে না, নামবেও না। ইন্ডিগোও একই কথা জানিয়ে বলেছে, শ্রীনগর, জম্মু, লেহ, অমৃতসর, চণ্ডীগড় ও রাজকোটে তাদের কোনো বিমান ওঠানামা করবে না।

পেহেলগামকাণ্ডের জবাবে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করার পর সীমান্তবর্তী ৩২টি বিমানবন্দর ১৫ মে পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আচমকা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হওয়ায় সোমবার বিমানবন্দরগুলো খুলে দেওয়া হয়।

দুই বিমান পরিষেবা সংস্থাই জানিয়েছে, বিদ্যমান পরিস্থিতি তাদের এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। তাদের কাছে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবচেয়ে জরুরি। তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।আরও পড়ুনভারতের বন্ধ বিমানবন্দর আবার চালু১৯ ঘণ্টা আগে

যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সীমান্তবর্তী কোনো কোনো এলাকায় পাকিস্তানের দিক থেকে ড্রোন আসার খবর পাওয়া গেছে। তারপরই এ সাবধানতা।

বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর একটি উড়োজাহাজ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইন ড গ

এছাড়াও পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-সংলগ্ন মিরপুর সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে এই চিত্র দেখা যায়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

দুপুরের দিকে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আছেন র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা। তাঁরা শক্ত অবস্থানে আছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরের দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনের মিরপুর সড়কে দুটি এক্সকাভেটর দেখা যায়।

পরে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এক্সকাভেটর ঢোকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করে।

কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের অন্তত এক সদস্য আহত হন।

আরও পড়ুনএক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ৪ ঘণ্টা আগে

পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড মেরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

বেলা পৌনে ২টার দিকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাঁদের আবার ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

বিক্ষোভকারীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা এবং তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিউমার্কেট থেকে মিরপুরমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুনরায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন৫ ঘণ্টা আগে

বিক্ষোভকারীরা পুরোপুরি সরে না যাওয়ায়, বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে আসার চেষ্টা করায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক দুপুরে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনোমতে কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।’

গত ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুনআড়াই ঘণ্টা ধরে পড়া হলো রায়, এরপর এল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ