বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনকে বিদেশ যাত্রায় বাধা দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে থাইল্যান্ডগামী একটি ফ্লাইটে উঠতে দেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, শেখ শাইরা শারমিন দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে যাত্রার জন্য থাই এয়ারলাইনসের টিজি৩২২ ফ্লাইটে চেক-ইন করলেও ইমিগ্রেশন থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়।

শেখ শাইরা শারমিন শেখ মুজিবুর রহমানের ভাতিজা শেখ হেলাল উদ্দীনের মেয়ে এবং সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বোন।

শেখ হেলাল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় এবং বাগেরহাট-১ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাগেরহাট-২ আসন থেকে তার ছেলে শেখ তন্ময়ও একই প্রতীকে নির্বাচিত হন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হোঁচট খেয়ে শাবনূরের পায়ে প্লাস্টার, বললেন— ‘আক্কেল হইছে!’

চেনা সেই হাসিখুশি শাবনূর এখন হাঁটতে পারছেন না, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগোচ্ছেন। কারণ? মোবাইলে কথা বলতে বলতে হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে এমনভাবে পড়ে গেছেন যে পায়ে প্লাস্টার করতে হয়েছে! 

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ল্যাকেম্বা এলাকায় ঘটে যাওয়া এই অসতর্ক মোবাইল দুর্ঘটনা নিয়ে এখন বেশ সতর্ক হয়েছেন ঢালিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। হালকা হাসির মাঝে ঘটনাটি কিন্তু মোটেও হালকাভাবে নেওয়ার মতো নয়।

শাবনূরের ভাষায়, “ব্যথাটা পেয়ে আমার আক্কেল হয়েছে। জীবনে আর হাঁটতে–চলতে গিয়ে মোবাইল দেখব না। গাড়ি চালানোর সময়ও না।”

আরো পড়ুন:

কান: প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়বে ২২ চলচ্চিত্র

বলিউড তারকারা কেন সরকারবিরোধী কথা বলেন না?

গত শনিবার সকালে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার সময় ছেলেকে মাঠে নিয়ে যাওয়ার পথে ঘটে এই দুর্ঘটনা। শাবনূর জানান, ফুটপাত থেকে অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে গিয়ে পা মচকে গেছে। হাঁটুর চামড়াও উঠে যায়। পরে চিকিৎসক জানান— পায়ের টিস্যুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে বাধ্য হয়ে পায়ে প্লাস্টার করতে হয়েছে। এখন চলছে ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটা আর ব্যথানাশক খাওয়ার ‘অভিজ্ঞতা’।

শাবনূর বলেন, “উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তিও ছিল না। তখনই বুঝলাম, একটুখানি অসাবধানতা থেকেও কী ভয়ানক কিছু হয়ে যেতে পারে।”

এই দুর্ঘটনা শুধু শাবনূরের নয়, এটা যেন সবার জন্য একটা সতর্কবার্তা। ‘মোবাইল-আসক্তি’র যুগে হাঁটতে হাঁটতে ফোনে কথা বলা, স্ক্রল করা আমাদের অনেকের দৈনন্দিন অভ্যাস। কিন্তু এই ঘটনাই প্রমাণ করল, রাস্তা আর মোবাইল একসঙ্গে গেলে, গন্তব্য হতে পারে হাসপাতাল!

সবাইকে সতর্ক করে শাবনূর বলেন, “যদি আমি গাড়ি চালানোর সময় ফোনে কথা বলতাম এবং তখন এমন কিছু হতো, তবে শুধু আমার নয়, অন্য কারো জীবনও ঝুঁকিতে পড়তে পারত। আমার ইনজুরি একটা সতর্কবার্তা— আশা করি, কেউ বিষয়টাকে হালকা করে দেখবেন না।”

অবশ্য ভক্তদের জন্য আশার খবর— শাবনূর এখন সেরে ওঠার পথে। সিডনিতে বোন ঝুমুরের বাসায় বিশ্রামে আছেন। ঢাকায় সিনেমা ‘রঙ্গনা’ দিয়ে ফেরার খবরে ভক্তদের মনে আশা জাগিয়েছিলেন তিনি। যদিও সে কাজ আপাতত বন্ধ, তবু এই তারকার ফেরা নিয়ে উৎসাহের শেষ নেই।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ