বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তানের সফরের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিল। এর মাঝেই শুরু হলো ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। তাতে শঙ্কার মুখে পড়ে যায় পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তবে বাতিল হয়নি। এরই মধ্যে সিরিজের সংশোধিত সুচি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) পাঠিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
আগের সূচি অনুযায়ী ফয়সালাবাদে ২৫ মে হওয়ার কথা ছিল সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সংশোধিত সূচি অনুসারে, দুই দিন পিছিয়ে সিরিজ শুরু হবে ২৭ মে থেকে।
মূলত পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সংশোধিত সূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় বাংলাদেশ সিরিজের সূচি পরিবর্তন করেছে পিসিবি। নতুন সূচিতে যেদিন পিএসএল ফাইনাল, সেদিনই বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ফয়সালাবাদে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ সিরিজকে সামনে রেখে নতুন কোচ নিয়োগ দিলো পাকিস্তান
যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ায় ভারত-পাকিস্তানকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা
নতুন সূচি অনুযায়ী, সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচ ২৭, ২৯ এবং ১ জুন ফয়সালাবাদে। চূড়ান্ত অনুমোদন সাপেক্ষে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ ৩ এবং ৫ জুন লাহোরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এখন বিসিবি সায় দিলেই সিরিজ সূচি চূড়ান্ত করা হবে।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের সংশোধিত সূচি-
২৭ মে- ১ম টি-টোয়েন্টি, ইকবাল স্টেডিয়াম, ফয়সালাবাদ,
২৯ মে- ২য় টি-টোয়েন্টি, ইকবাল স্টেডিয়াম, ফয়সালাবাদ,
১ জুন- ৩য় টি-টোয়েন্টি, গাদ্দাফি স্টেডিয়াম, লাহোর,
৩ জুন- ৪র্থ টি-টোয়েন্টি, গাদ্দাফি স্টেডিয়াম, লাহোর,
৫ জুন- ৫ম টি-টোয়েন্টি, গাদ্দাফি স্টেডিয়াম, লাহোর।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফয়স ল ব দ
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)