বলিউডের কয়েকটি জনপ্রিয় সিনেমার গানের থাম্বনেইল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে পাকিস্তানি তারকাদের ছবি। ‘রইস’, ‘কাপুর অ্যান্ড সন্স’ এবং ‘সনম তেরি কসম’ ছবির গানে আগে যাঁদের দেখা যেত, এখন সেখানে কেবল ভারতীয় অভিনয়শিল্পীদের রাখা হয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, এসব ছবির গানের প্রচারচিত্র থেকে মাহিরা খান, ফাওয়াদ খান ও মাওরা হোসেনের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা এই পরিবর্তন প্রথম লক্ষ করেন গান শোনার জনপ্রিয় অ্যাপ ‘উইঙ্ক মিউজিক’, ‘জিওসাওয়ান’ ও ‘স্পটিফাই’তে।

আরও পড়ুনভারতের হামলায় উচ্ছ্বসিত বলিউড, ‘কাপুরুষতা’ বলছেন পাকিস্তানের তারকারা০৭ মে ২০২৫

২০১৭ সালের বহুল আলোচিত বলিউড ছবি ‘রইস’-এ শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান। ছবির ‘জালিমা’ গানের প্রচারচিত্রে দুজনকেই দেখা যেত। এখন সেই চিত্রে কেবল শাহরুখ খানকেই দেখা যাচ্ছে। এসব অ্যাপ ছাড়াও ইউটিউবেও মাহিরাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ফাওয়াদ খান অভিনয় করেছিলেন ‘কাপুর অ্যান্ড সন্স’ সিনেমায়। ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও আলিয়া ভাট। এখন গানের প্রচারচিত্রে শুধু আলিয়া ও সিদ্ধার্থই রয়েছেন, ফাওয়াদের ছবিটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাওরা হোসেন অভিনয় করেছিলেন ২০১৬ সালের রোমান্টিক ট্র্যাজেডি ‘সনম তেরি কসম’ সিনেমায়। ছবির গানের প্রচারচিত্রে আগে তাঁর মুখ দেখা গেলেও এখন কেবল সহ-অভিনেতা হর্ষবর্ধন রানেকে রাখা হয়েছে।

‘জালিমা’ গানের দৃশ্যে শাহরুখ–মাহিরা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ