Samakal:
2025-06-27@23:50:45 GMT

অল্প তেলে রান্না

Published: 13th, May 2025 GMT

অল্প তেলে রান্না

প্রতিটি রেসিপি এক নতুন সৃজনশীল ভাবনার প্রকাশ, যেখানে সামান্য তেলেই লুকিয়ে থাকে পরিপূর্ণ স্বাদের জাদু। স্বাস্থ্যবান থাকা মানেই যে স্বাদহীন খাবার খেতে হবে– এ ধারণা ভাঙতে ‘অল্প তেলে রান্না’ নিয়ে রেসিপি তৈরি করেছেন আলিফ’স ডেলিকেট ডিসেজের শেফ আলিফ রিফাত

রুই মাছ দিয়ে পটোল-আলুর ঝোল  
উপকরণ: রুই মাছ ৪ টুকরা, আলু ২টি লম্বা করে কাটা, পটোল ৪টি লম্বা করে কাটা, টমেটো ২টি লম্বা করে কাটা, পেঁয়াজ বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ১/২ চা চামচ, শুকনামরিচ বাটা ১/২ চা চামচ, কাঁচামরিচ আস্ত ২-৩টি, ধনিয়া পাতা ১ মুঠো, জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ, তেল ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি: সব মসলা দিয়ে মাছ মাখিয়ে রাখতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে মসলা মাখানো মাছ দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। কষানো হলে মাছ একটা পাত্রে তুলে রাখতে হবে। এবার ওই মসলায় আলু-পটোল, টমেটো দিয়ে কষাতে হবে। কষানো হলে ২ কাপ গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। সবজি সেদ্ধ হয়ে পানি আধা হয়ে গেলে কষানো মাছ, জিরা ও ধনিয়া পাতা দিয়ে ১ মিনিট জ্বাল দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

চিংড়ি মাছে শাজিনা শাক  
উপকরণ: শজিনা শাক ২ কাপ, চিংড়ি মাছ ১-২ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১-২ কাপ, রসুন কুচি ১/৪ কাপ, কাঁচামরিচ ৩-৪টি, লালমরিচ ২-৩টি, হলুদ গুঁড়া ১-২ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি: লবণসহ শজিনা পাতা গরম পানিতে ৩ মিনিট সেদ্ধ করে ছেঁকে নিতে হবে। শাক কাঁচামরিচের সঙ্গে বেটে নিতে হবে। এবার কড়াইয়ে ১ চা চামচ তেল দিয়ে লালমরিচ ভেজে তুলে নিতে হবে। এবার পেঁয়াজ-রসুন ও চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাজতে হবে। নরম হয়ে এলে হলুদ গুঁড়া ও শাক দিয়ে কষাতে হবে। কষাতে কষাতে যখন পানি শুকিয়ে পোড়াপোড়া ভাব হবে, তখন ভেজে রাখা শুকনা মরিচ হাত দিয়ে ভেঙে শাকের সঙ্গে মিশিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
 

দোমাছা লতি পাতুরি 
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ১/৩ কাপ, লইট্টা শুঁটকি ১/৩ কাপ, রসুন কুচি ১/৪ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ, লতি কাটা ১ কাপ, কাঁচামরিচ ফালি ৩-৪টি, শুকনামরিচ বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া সামান্য, লবণ স্বাদমতো, লাউপাতা প্রয়োজন মতো, সরিষার তেল ১ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: লইট্টা মাছ কুটে বেছে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে ১ ঘণ্টার মতো। এবার লতি লবণ পানিতে ভাপিয়ে নিতে হবে ২-৩ মিনিট। পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এবার শুঁটকি, চিংড়ি মাছসহ সব মসলা দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে। মাখানোর ফলে পানি ছাড়বে। এ পানিতেই রান্না হবে পাতুরি। এবার লতিও মাখিয়ে নিতে হবে। পাতা বিছিয়ে তার ওপর তেল ব্রাশ করতে হবে। তারপর মাখানো লতি-শুঁটকি মাছ দিয়ে ওপরে আবার তেলে ব্রাশ করা পাতা বিছিয়ে ভালো করে মুড়ে নিয়ে সুতা দিয়ে বেঁধে নিতে হবে। পরে একটা ফ্রাইপ্যানে তেল ব্রাশ করে তাতে পাতুরি রেখে ঢেকে রান্না করতে হবে। উলটেপালটে ১৫-২০ মিনিটের মতো রান্না করতে হবে। পাতা যেন শুকিয়ে যায় এ জন্য মাঝেমধ্যে পানির ছিটা দিতে হবে। গরম ভাতে লেবু সহযোগে খেতে অমৃত এ অল্প তেলের দোমাছা লতি পাতুরি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হল দ গ

এছাড়াও পড়ুন:

অপরাজেয় রপ্তানি করছে টেকসই পণ্য

২০১৩ সালের ঢাকার সাভারের রানা প্লাজা ধসের পরে ‘নারীপক্ষ’ নামে একটি এনজিওর জন্য ৫০টি পাটের ব্যাগ তৈরির মাধ্যমে শুরু হয় ‘অপরাজেয়’–এর পথচলা। শুরু করার মাত্র চার মাসের মধ্যে দেশি ক্রয়াদেশের পাশাপাশি স্বল্প পরিমাণে শুরু হয় রপ্তানি। পরের বছর প্রতিষ্ঠানের আয় দিয়ে চালু করা হয় ‘সংকলন পাঠশালা’ নামের একটি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। সংকলন পাঠশালার ২৪৫ শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই ছিল রানা প্লাজায় আহত ও অন্য পোশাকশ্রমিকদের সন্তান।

২০১৫ সালে এক অগ্নিদুর্ঘটনায় কারখানা পুড়ে ২৭ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়। তহবিল–সংকট ও অন্যান্য কারণে ২০১৬ সালে বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০১৮ সালে ব্যক্তি বিনিয়োগে ‘অপরাজেয় লিমিটেড’ নামে শতভাগ রপ্তানিমুখী পাটপণ্য ও হস্তশিল্প উৎপাদন কারখানা চালু করেন কাজী মো. মনির হোসেন। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান পাটের তৈরি ব্যাগ, হোগলাপাতা ও শণের তৈরি বিভিন্ন পণ্য বিশ্বের ২৬টি দেশে রপ্তানি করছে। বর্তমানে দুটি উৎপাদন ইউনিটে স্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ২৪০। এর বাইরেও হস্তপণ্য তৈরির জন্য বগুড়া, রংপুর, নোয়াখালীতে চুক্তিভিত্তিতে কাজ করছেন অসংখ্য নারী।

বর্তমানে ইউরোপের নামকরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জন্য পণ্য তৈরি করছে অপরাজেয়। বৈশ্বিক ক্রেতাদের শর্ত, কর্মপরিবেশের নিরাপত্তা ও শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে অপরাজেয় ‘সেডেক্স’সহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সনদ পেয়েছে। একই সঙ্গে দেশের বাজারে মানসম্পন্ন পাটপণ্যের উৎপাদন ও বাজারজাতের ঘাটতির কথা বিবেচনায় নেন কাজী মো. মনির হোসেন ও তাঁর স্ত্রী মুনিয়া জামান। ২০২১ সালে ‘কালিন্দী’ নামে একটি দেশি ব্যাগের ব্র্যান্ড চালু করেন মুনিয়া জামান। কালিন্দীর সব পণ্য অপরাজেয় কারখানার অব্যবহৃত উপকরণ থেকে তৈরি হয়। কালিন্দী পপআপ স্টোর ও অনলাইন থেকে বর্তমানে মাসে দেড় হাজারের বেশি ব্যাগ বিক্রি হচ্ছে।

শুরুতে শুধু পাটের ব্যাগ তৈরি করলেও বর্তমানে কালিন্দী চামড়ার ব্যাগও বানাচ্ছে। টেকসই পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি দেশীয় ফ্যাশন ও নিত্যপণ্যের নানান উপকরণ তৈরি হচ্ছে। এমনই উদ্যোগ অপরাজেয় ও কালিন্দী। রপ্তানি শ্রেণিতে আইডিএলসি-প্রথম আলো এসএমই পুরস্কার ২০২৩ পেয়েছে অপরাজেয় লিমিটেড।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশীয় মৎস্য উপকরণের দুর্দিন
  • অপরাজেয় রপ্তানি করছে টেকসই পণ্য