কারণ ছাড়া ক’দিন বন্ধ থাকলেই নিজে থেকে রিস্টার্ট হবে ডিভাইস। ফলে ডিভাইসের সব ধরনের ডেটা এনক্রিপ্টেড হয়ে যাবে।
সহজে কেউ ডেটার নাগাল পাবে না। অবৈধ ডেটা চুরির অ্যাপ বা সফটওয়্যার ব্যবহার করেও সুবিধা পাওয়া যাবে না। অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা ট্যাবের জন্য এমন ফিচার তৈরির কথা জানাল গুগল। গুগল প্লে সার্ভিস ২৫.১৪ সংস্করণে পাওয়া যাবে এমন সুবিধা।
হুট করে নিজের ব্যবহৃত স্মার্ট ডিভাইসের পাওয়ার সচল হওয়ার অনেক পরে আনলক হলে এটি ‘আফটার ফার্স্ট আনলক’ মোডে চলে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে ফোন লক থাকলেও কিছু জরুরি ডেটার এনক্রিপশন হয় না। ফলে দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিন বন্ধ থাকলেই ডেটা চুরির শঙ্কা থেকে যায়। টানা তিন দিন যদি ডিভাইস অব্যবহৃত থাকে, তা
হলে এমন ফিচার নিজে থেকেই ডিভাইসকে সক্রিয় করবে। তা ‘বিফোর ফার্স্ট আনলক’ মোডে চলে যাবে। ফলে ডেটা বেহাত হওয়ার আশঙ্কামুক্ত হয়।
অ্যাপল আইওএস ১৮.
পরপর তিন দিন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া ফোন ব্যবহার করা না হলে এমন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচিত নয়। তবে ফোন হারানো বা কোনো বিপদের সময়ে আপনার ডেটা সুরক্ষা মজবুত করবে উল্লিখিত ফিচার।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবহ
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)