ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ছেলের নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুনিয়র। ক্রিস্টিয়ানিনহো নামে পরিচিত এই কিশোরের মঙ্গলবার (১৩ মে) অভিষেক হয়ে গেল পর্তুগালের জার্সিতে। ক্রোয়েশিয়ার স্ভেতি মার্টিন না মুরি শহরে অনুষ্ঠিত ভ্লাতকো মার্কোভিচ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পর্তুগালের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে যাত্রা শুরু হয় ক্রিয়ানিনহোর। এই ম্যাচে জাপান অনূর্ধ্ব-১৫ দলের বিপক্ষে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব-১৫ ৪-১ গোলের বড় জয় পায়।

ক্রিস্টিয়ানিনহো তার বাবার বিখ্যাত ‘৭’ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামেন। তিনি অবশ্য শুরুর একাদশে ছিলেন না। বেঞ্চে থেকে ম্যাচ শুরু করেন। বিরতির পর ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে তিনি মাঠে নামেন। লেফট উইঙ্গার হিসেবে তিনি খেলেন, ঠিক যেমনটা তার বাবা ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় খেলেছেন।
মাঠে ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রের উপস্থিতিতে পর্তুগাল লিড ধরে রাখতে সক্ষম হয়। ম্যাচে সেলেসাওদের হয়ে রাফায়েল কাবরালের হ্যাটট্রিক করেন। অন্য গোলটি আসে হেনরিক আমেনের কাছ থেকে।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ছেলে ম্যাচের আগে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব-১৫ দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছিলেন। ক্রিস্টিয়ানিনহো এবং তার সতীর্থরা বুধবার (আজ, ১৪ মে) গ্রিস এবং শুক্রবার (১৬ মে) ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। পর্তুগাল আসরটির ‘বি’ গ্রুপ আছে।

ছেলের জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক দেখতে বাবা রোনালদো অবশ্য মাঠে ছিলেন না। তবে ক্রিস্টিয়ানিনহোর দাদি অর্থাৎ রোনালদোর মা দোলারোস এভেরিও ঠিকই মাঠে ছিলেন। মারিয়া দোলারোসের আপোষহীন তত্বাবধানেই মূলত রোনালদো তার জুনিয়র ক্যারিয়ারে সফল হন এবং স্পোর্টিংয়ে নাম লেখান। এখন এই ৭০ বছর বয়সী অদম্য নারী হয়ত তাঁর নাতীকে ফুটবলে সেরা বানানোর মিশনে নেমে পড়েছেন।

রোনালদো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেলের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে লিখেছেন, “তোমার পর্তুগালের হয়ে অভিষেকের জন্য অভিনন্দন, বাবা। তোমাকে নিয়ে আমি খুব গর্বিত।”

উল্লেখ্যে ক্রিস্টিয়ানিনহো বর্তমানে তার বাবার ক্লাব সৌদি আরবের আল নাসরের যুব দলের হয়ে খেলছেন। এর আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও জুভেন্টাসের যুব দলেও খেলেছেন তিনি।

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ত গ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা 

সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ