সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবে গেল প্রথম হজ ফ্লাইট। বুধবার বিকেলে ৫টা ২৫ মিনিটে ৪০৮ হজযাত্রী নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২৩৭ ফ্লাইটটি সিলেট ছাড়ে।

বিমানের জেলা ব্যবস্থাপক শাহনেওয়াজ মজুমদারের সভাপতিত্বে হজ ফ্লাইট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শফিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনোয়ারুজ্জামান, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ প্রমুখ।

শাহনেওয়াজ মজুমদার সমকালকে জানান, প্রথম ফ্লাইটে যাত্রীদের মধ্যে সিলেটের ৩৫০ ও ঢাকার ৫৮ জন ছিলেন। এ ছাড়া সাধারণ যাত্রী ছিলেন ৯ জন। সিলেট থেকে আরও চারটি হজ ফ্লাইট যাবে। আগামী ২৩ মে বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে বিজি-২৩৫, ২৫ মে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে বিজি-৩৩১, ২৬ মে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে বিজি-২৩৫ ও ২৯ মে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে বিজি-২৩৫ ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে যাত্রা করবে। এবার সিলেট থেকে ২ হাজার ৮০০ যাত্রী হজে যাওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।

 

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স দ আরব

এছাড়াও পড়ুন:

লেনদেন ফের ৩০০ কোটির নিচে

দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার ঢাকার শেয়ারবাজারের লেনদেন কমে ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। দর পতন অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমায় লেনদেন ক্রমাগত কমছে। গতকাল বুধবার ডিএসইতে কেনাবেচা হয়েছে ২৯৪ কোটি টাকার শেয়ার, যা গত ২৯ এপ্রিলের পর এটাই সর্বনিম্ন লেনদেন।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ৫ মে এ বাজারে ৫৮৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। সে তুলনায় গতকালের লেনদেন অর্ধেকে নেমেছে। অবশ্য ওই দিন ব্লক মার্কেটে প্রায় ১৬৮ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। গতকাল ব্লক মার্কেটে কেনাবেচা হয়েছে ১৬ কোটি টাকার শেয়ার।

লেনদেন কমার কারণ জানতে চাইলে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, ক্রমাগত দর পতন বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ কার্যক্রম থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের উদ্যোগ নিয়ে সর্বশেষ যে আশা তৈরি হয়েছিল, তাও হতাশায় রূপ নিয়েছে।

এর সঙ্গে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের বড় ধরনের সংস্কার কার্যক্রম সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিকল্পনায় থাকায়, তার ফলাফল নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ আছে। বিশেষত তালিকাভুক্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ভিত্তি অত্যন্ত দুর্বল বিধায়, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এগুলোর বিষয়ে কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। এরও প্রভাব আছে শেয়ারদরে।

গতকাল ঢাকার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৩৫৭টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ২৬৯টির এবং অপরির্তিত থেকেছে ৩২টির। অন্যদিকে তালিকাভুক্ত ৩৭ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২১টি দর হারিয়েছে।

ডিএসইর খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কাগজ ও ছাপাখানা ছাড়া গতকাল বাকি সব খাতের সিংহভাগ শেয়ার দর হারিয়েছে। বড় খাতগুলোর মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের দেড় শতাংশ, বীমা খাতের সোয়া ১ শতাংশ এবং বস্ত্র খাতের সোয়া ১ শতাংশের বেশি দর পতন হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যক কোম্পানির খাতগুলোর মধ্যে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের আড়াই শতাংশ, সিমেন্ট এবং সিরামিক খাতের শেয়ারগুলো গড়ে দেড় শতাংশের ওপর দর হারিয়েছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল সর্বাধিক সোয়া ৪৪ কোটি টাকার লেনদেন কমার পরও ব্যাংক খাতের লেনদেন ছিল খাতওয়ারি লেনদেনের সর্বোচ্চ। যার পরিমাণ ছিল মাত্র ৫৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ১২ কোটি টাকার লেনদেন কমে মিউচুয়াল ফান্ড খাতের লেনদেন ৩২ কোটি ৬৪ লাখ টাকায় নেমেছে।

পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, গতকাল তালিকাভুক্ত ৩৯৩ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের কেনাবেচা হলেও এর মধ্যে শীর্ষ ২০ কোম্পানির ১৩০ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা মোটের ৪৪ শতাংশের বেশি। আবার এর মধ্যে একক কোম্পানি হিসেবে দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানি বিচ হ্যাচারির সর্বাধিক পৌনে ১৬ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ