অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, ওয়েব ও অ্যান্ড্রয়েড টিভির দর্শকের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক ও নিরবচ্ছিন্ন বিনোদনের প্রয়াসে অ্যাপের সম্পূর্ণ নতুন সংস্করণ ঘোষণা করেছে ডিজিটাল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম টফি। নতুনত্বের মধ্যে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন ও আপগ্রেড ফিচার, যা কনটেন্ট খোঁজা (ডিসকাভার) ও দেখার অভিজ্ঞতাকে উপভোগ্য করবে; সবার জন্য পার্সোনালাইজড অভিজ্ঞতা দেবে।
দর্শকবান্ধব নতুন ইন্টারফেসে যুক্ত হয়েছে স্বচ্ছ ও সহজ দৃশ্যায়ন। বাংলালিংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, ভিউয়িং অভিজ্ঞতা ও দর্শকের পছন্দ প্রাধান্য দিয়ে আমরা টফিকে সম্পূর্ণ নতুন রূপ দিয়েছি। গ্রাহকরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক ও নিরবচ্ছিন্ন বিনোদন অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারেন, সে জন্য সুবিধাজনক প্ল্যাটফর্মে নতুন সংস্করণ আনা হয়েছে। সিগনেচার লাইভ স্পোর্টস স্ট্রিমিং এখন স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক; একই সঙ্গে মাল্টিডিভাইস সুবিধার মাধ্যমে স্থানীয় ও বিদেশি কনটেন্ট অ্যাকসেস করা এখন আগের চেয়ে সহজ। এমন রূপান্তরের মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটি শুধু অ্যাপ হিসেবেই নয়, বরং দর্শকের সময়োপযোগী চাহিদা পূরণে কাজ করছি। আপগ্রেডে কনটেন্ট সংগ্রহশালা সমৃদ্ধ হয়েছে।
হলিউড ব্লকবাস্টার, বলিউড হিট, সমালোচক দ্বারা প্রশংসিত সিরিজ ও এক্সক্লুসিভ আঞ্চলিক সিনেমা ছাড়াও এতে প্রায় চার হাজার ঘণ্টার বেশি সময়জুড়ে অন-ডিমান্ড এন্টারটেইনমেন্ট অপশন রয়েছে। নতুন এ অ্যাপ এখন সবার জন্য উন্মুক্ত। উপভোগ্য কনটেন্ট, প্রযুক্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যের মিশেলে ডিজিটাল বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করবে দেশের এ বিনোদন প্ল্যাটফর্ম।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ল য টফর ম কনট ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)