উপকরণ: বিচি ফেলে পাতলা স্লাইস করা করলা ১ কাপ, লবণ ১ চা-চামচ, কুমড়া বড়ি সিঁকি কাপ, পেঁয়াজ (মিহি স্লাইস) আধা কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ২টি, সরিষার তেল ২ চা-চামচ ও তেল ২ চা-চামচ।
প্রণালি: বড়ি ধুয়ে পাটায় বা হামানদিস্তায় গুঁড়া করে নিন। করলায় আধা চা-চামচ লবণ মেখে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এবার করলা ভালো করে কচলে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে মৃদু আঁচে বড়ির গুঁড়া লালচে করে ভেজে নিন। ঠান্ডা হলে এক পাশে রেখে দিন। একটি বোল বা বাটিতে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, লবণ ও সরিষার তেল মিশিয়ে ভালো করে কচলে মেখে নিন। তারপর করলা কুচি ও ভেজে রাখা বড়ির গুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে মেখে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় থেকে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটক রাকায়েত হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার দক্ষিণপুরের জানখারটেক গ্রামের প্রয়াত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমানের সমর্থক হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে ক্লাস থেকে বের হয়ে নতুন সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের নিচে আসেন রাকায়েত হোসেন। এ সময় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী তাঁকে ধরে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে বেলা তিনটা পর্যন্ত প্রক্টর কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে পুলিশে দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. সোহাগ বলেন, ওই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। তাঁর বিরুদ্ধে হলে ভিন্নমতাবলম্বী শিক্ষার্থীদের নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ আছে। তিনি বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আটক করে প্রক্টর কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোখলেসুর রহমান বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থী আটক করে ওই শিক্ষার্থীকে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন। সার্বিক দিক বিবেচনা করে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন মিত্র বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একজন শিক্ষার্থীকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখব, কোনো মামলা বা অভিযোগ আছে কি না। এরপর ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’