Samakal:
2025-11-17@11:04:51 GMT

সংঘর্ষে আহত অন্তত ৩০

Published: 16th, May 2025 GMT

সংঘর্ষে আহত অন্তত ৩০

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মাছের ঘের কাটা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 
সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন–  জালাল ফকির, মেহেদী ফকির, পলাশ ফকির, আলামিন ফকির, রবিউল ফকির, রিয়াজ ফকির, মিরাজ ফকির, সুফিয়ান ফকির, রফিকুল ফকির, গাউস ফকির, মনিরুজ্জামান ফকির, আব্বাস আলী ফকির, আকাশ ফকির ও  নাসির ফকির। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গোপালগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিলের জমিতে মাছের ঘের খনন করা নিয়ে বর্ষাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকিরের সঙ্গে একই গ্রামের মোকসেদ আলী ফকিরের বিরোধ চলছে। এর জেরে শুক্রবার মোকসেদের লোকজন ইব্রাহিমের লোকজনকে মারধর করে। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। 
ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকির বলেন, তাঁর লোকজন মোকসেদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ তাদের মারধর করেন। তিনি লোকজন নিয়ে বাধা দিতে গেলে মোকসেদের লোকজন তাদের ওপরও হামলা চালান। হামলায় তাঁর পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছেন। 
অভিযোগ প্রসঙ্গে মোকসেদ আলী ফকিরের ছেলে আলামিন ফকির বলেন, ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকির কিছুদিন আগে লোকজন নিয়ে জোর করে তাদের জমিসহ কয়েকজনের জমিতে মাছের ঘের কাটতে শুরু করেন। তারা বাধা দিলে ঘের খনন বন্ধ হয়। আজ (শুক্রবার) ইব্রাহিম ফকির লোকজন নিয়ে তাদের সেই জমিতে আবারও ঘের কাটতে গেলে তারা বাধা দিয়েছেন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে তাদের পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি। 
কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ র ল কজন স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর

বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!

কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।

এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)

সম্পর্কিত নিবন্ধ