গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মাছের ঘের কাটা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন– জালাল ফকির, মেহেদী ফকির, পলাশ ফকির, আলামিন ফকির, রবিউল ফকির, রিয়াজ ফকির, মিরাজ ফকির, সুফিয়ান ফকির, রফিকুল ফকির, গাউস ফকির, মনিরুজ্জামান ফকির, আব্বাস আলী ফকির, আকাশ ফকির ও নাসির ফকির। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গোপালগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিলের জমিতে মাছের ঘের খনন করা নিয়ে বর্ষাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকিরের সঙ্গে একই গ্রামের মোকসেদ আলী ফকিরের বিরোধ চলছে। এর জেরে শুক্রবার মোকসেদের লোকজন ইব্রাহিমের লোকজনকে মারধর করে। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকির বলেন, তাঁর লোকজন মোকসেদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ তাদের মারধর করেন। তিনি লোকজন নিয়ে বাধা দিতে গেলে মোকসেদের লোকজন তাদের ওপরও হামলা চালান। হামলায় তাঁর পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মোকসেদ আলী ফকিরের ছেলে আলামিন ফকির বলেন, ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকির কিছুদিন আগে লোকজন নিয়ে জোর করে তাদের জমিসহ কয়েকজনের জমিতে মাছের ঘের কাটতে শুরু করেন। তারা বাধা দিলে ঘের খনন বন্ধ হয়। আজ (শুক্রবার) ইব্রাহিম ফকির লোকজন নিয়ে তাদের সেই জমিতে আবারও ঘের কাটতে গেলে তারা বাধা দিয়েছেন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে তাদের পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।
কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ র ল কজন স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
৯ কোটি টাকা সরকারি অনুদান পাচ্ছে ৩২ চলচ্চিত্র
৩২টি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ৯ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এই অনুদান দেওয়া হবে। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রয়েছে ১২টি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২০টি।
মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হবে ৭৫ লাখ টাকা। আর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হবে ২০ লাখ টাকা করে।
অনুদানের জন্য মনোনীত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো—রবিনহুডের আশ্চর্য অভিযান, মায়ের ডাক, জুলাই, রূহের কাফেলা, পরোটার স্বাদ, খোঁয়ারি, জীবন অপেরা, জলযুদ্ধ, কবির মুখ দ্য টাইম কিপার, কফিনের ডানা, নওয়াব ফুজুন্নেসা ও জুঁই।
অনুদানের জন্য মনোনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো—মন্দ-ভালো, ফেলানী, ঝুঁকির মাত্রা, জীবনের গান, হু হ্যাজ মেইড আস ফ্লাই, ভরা বাদর, ১২৩০, বৃন্দারাণীর আঙুল, একটি সিনেমার জন্য, দাফন, সাঁতার, মাংস কম, গগন, অতিথি, বোবা, অদ্বৈত, আশার আলো, গর্জনপুরের বাঘা, হোয়ার দ্য ওয়াটার স্লিপস এবং অপসময়।