উপস্থাপনা একটি শিল্প। বর্তমানে এর মান কতটুকু ধরে রাখা যাচ্ছে সেটা একটা বড় প্রশ্ন। দেখা যাচ্ছে যে, বিনোদন জগতের তারকাদেরকে বিভিন্ন উপস্থাপক যেসব প্রশ্ন করেন- তা অনেক সময় নেটিজেনদের কাছে হাস্য-রসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যদিও এ দায় কেবল উপস্থাপককে দেওয়া চলে না, দর্শক কি গ্রহণ করছেন, কেন গ্রহণ করছেন-তা নিয়েও বিস্তর বলার আছে। যাইহোক, সাবলীল এবং পরিমিতিবোধ সম্পন্ন উপস্থাপনার জন্য রুমানা মালিক মুনমুনকে নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই আলোচনা করছেন।

বাংলা চলচ্চিত্র নামের একটি গ্রুপ পেইজে রহমান মতি নামের একজন রুমানা মালিক মুনমুনকে নিয়ে একটি পোস্ট করার পরেই শুরু হয় তুমুল আলোচনা। রহমান মতি লিখেছেন, ‘‘আজকাল উপস্থাপনাটা সস্তা হয়ে গেছে। লাউ প্রিয় না টমেটো প্রিয় এ সমস্ত প্রশ্ন পর্যন্ত ইন্টারভিউতে উপস্থাপকরা করেন, ব্যক্তিগত জীবনের বিব্রতকর প্রশ্ন তো আছেই। মুনমুনকে কখনো এগুলো বলতে দেখিনি। জনপ্রিয় ‘আমার আমি’ অনুষ্ঠানের নিয়মিত উপস্থাপক ছিলেন মুনমুন। হুমায়ুন ফরীদি-র পর্বে তাকে ভদ্রভাবে আগে থেকে জিজ্ঞেস করে বলেছিল-‘আমি কি সুবর্ণা মুস্তাফাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারব?’- ফরীদি বলেছিলেন ‘না’। মুনমুন আর কোনো প্রশ্ন করেননি। এই যে অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি এত সুন্দর কার্টেসি আজকাল উপস্থাপনায় দেখা যায় না। মুনমুনের ভয়েস আর হাসিও তার উপস্থাপনার সৌন্দর্য ছিল।’

ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, ‘‘এখনকার উপস্থাপনা দেখলে আমার মুনমুন ম্যাম এর কথাই মনে পড়ে, কি সুন্দর ভদ্রতা, বাচনভঙ্গি, কাউকে বিন্দুমাত্র ছোট না করে উপস্থাপনা করা, এছাড়াও তখনকার যারা ছিলো সবাই ভালোভাবে প্রশ্ন করতো, এখনকার সবতো কত নোংরা প্রশ্ন করা যায় সে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।’’

আরো পড়ুন:

মৃত সন্তানকে নিয়ে গুলতেকিন খানের আবেগঘন পোস্ট

নায়ক ফারুকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মো, জেহাদ নামের একজন লিখেছেন, ‘‘উনি যাদের ইন্টারভিউ নিয়েছেন বর্তমান সময়ের উপস্থাপক/উপস্থাপিকাদের যোগ্যতা নেই তাদের সামনে বসার। এখনকার উপস্থাপকরা তো লিজেন্ডদের সামনেও পা তুলে বসে আর প্রশ্ন করে আপনার মাসিক ইনকাম কতো।’’

তবে মুনমুন কিংবা অপি করিম যেসব তারকাদের সাক্ষাৎকার নিতেন তারা ছিলেন উঁচুমানের শিল্পী, সে কথাও বলছেন নেটিজেনরা। 

একজন লিখেছেন, ‘‘এখানে আরেকটা বিষয় আছে। ওই সময়ের সেলিব্রেটিরাও এখনকার সেলিব্রেটি দের মতো ছিলেন না। এখন তো টিকটকাররাও সেলিব্রিটি তাই প্রশ্ন ও তেমন ই আসে।’’

নেটিজেনদের অনেকেই মুনমুন এবং অপি করিমকে উপস্থাপনায় আবারও দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র উপস থ উপস থ প এখনক র

এছাড়াও পড়ুন:

বনানীতে সিসা বারে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা, জড়িত ৫ জন শনাক্ত

রাজধানী ঢাকার বনানী এলাকায় ‘৩৬০ ডিগ্রি’ নামের একটি সিসা বারে রাহাত হোসেন রাব্বি (৩১) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাহাত ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা করতেন। পুলিশের ধারণা, আর্থিক লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাহাতকে হত্যা করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাহাত হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের নাম–পরিচয় পাওয়া গেছে।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সিসা বারের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাহাতের পায়ে ছুরিকাঘাত করেন তাঁর পূর্বপরিচিত কয়েকজন যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি রাসেল সারোয়ার আরও বলেন, রাহাত তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে সিসা বারে ছিলেন। কথা-কাটাকাটির জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা রাহাতের পূর্বপরিচিত এবং তাঁরা প্রায়ই এই সিসা বারে আসতেন। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।

রাহাতের ওপর হামলার দৃশ্য ধারণ হয়েছে সিসা বারের একাধিক সিসি ক্যামেরায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, রাহাত সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় প্রথমে তিনজন তাঁকে ঘিরে ধরেন। এর মধ্যেই তাঁর ঊরুতে ছুরিকাঘাত করা হয়। এক যুবক রাহাতের ওপর হামলা ঠেকাতে চাইলে তাঁকেও মারধর করা হয়। একপর্যায় রাহাত সিঁড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ভবনের লিফটের কাছে আসেন। হামলাকারীদের একজন রাহাতকে কিছু একটা দিয়ে পেটান। সবশেষে আরেকজন এসে রাহাতের ডান হাতের কনুইতে ছুরিকাঘাত করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে যান।

নিহত যুবকের চাচাতো ভাই শাকিল শাজাহান ও ফুফু কাজল আক্তার বলেন, রাহাত ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ছিলেন। মহাখালী এলাকার রবিউল আলম হাজারীর দুই ছেলের মধ্যে তিনি বড়। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেননি। ভোরে তাঁর মুঠোফোন থেকে এক বন্ধু জানান, রাহাত ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সিসা নিষিদ্ধ মাদক। তবে অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে প্রভাবশালীরা যোগসাজশ করে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সিসা বার পরিচালনা করে আসছেন। অনেকটা প্রকাশ্যে ৩৬০ ডিগ্রি নামের একটি সিসা বার ব্যবসা পরিচালনা করলেও সেটা জানতেন না বলে জানিয়েছেন বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ৩৬০ ডিগ্রি নামের একটি সিসা বারের নামে আগেও দুটি মামলা করা হয়েছিল। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি সূত্র বলছে, নিয়মিত অভিযান না হওয়ায় এভাবে প্রকাশ্যে চলছে সিসা বার। গুলশান এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শামসুল কবির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আগে ‘অ্যারাবিক কুজি’ নামে সিসা বারটি পরিচালিত হতো। কিছুদিন আগে অভিযান চালিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এখন ৩৬০ ডিগ্রি নতুন নাম দিয়ে একই মালিক ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাথর লুটে জড়িত বড় নেতারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন না
  • ‘রুকন না হলে চাকরি থাকবে না’ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ব্যাখ্যা
  • বিপ্লবের এক বছর পর আশা হতাশায় রূপ নিচ্ছে
  • এশিয়া কাপে বাদ পড়তে পারেন বাবর আজম ও রিজওয়ান
  • ডাকসু নির্বাচন: চতুর্থ দিনে মনোনয়ন ফরম নিলেন একজন
  • কক্সবাজার সৈকতে গোসলে নেমেছিলেন চার বন্ধু, ঢেউয়ে ভেসে একজনের মৃত্যু
  • সার্কভুক্ত ‘দেশি’ ফুটবলার আশীর্বাদ নাকি শঙ্কা
  • বনানীতে সিসা বারে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা, জড়িত ৫ জন শনাক্ত
  • এখনও হৃতিক সুজানের বন্ধুত্ব রয়ে গেছে
  • ভারতের যে গ্রামের পুরুষেরা দুই বিয়ে করেন