থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চোখের অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাকে দুই সপ্তাহ পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ব্যাংককের রুটনিন আই হসপিটালের চিকিৎসকরা।

শনিবার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি মহাসচিবের বাঁ চোখে অস্ত্রোপচার পরবর্তী অবস্থা ভালো। এখন তিনি সুস্থ আছেন। আল্লাহর মেহেরবানি এবং সবার দোয়ায় তিনি আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে, দুই সপ্তাহ ফ্লাই করা যাবে না। সে জন্য তার দেশে ফিরতে দেরি হচ্ছে। যখনই চিকিৎসকরা অনুমতি দেবেন, অর্থাৎ প্লেনে আসার মতো অবস্থা যখন হবে তখনই তিনি দেশে ফিরে আসবেন। কারণ চোখের অপারেশনের পর কোনো কোনো সময় প্রেশার কমবেশি হয়। অর্থাৎ প্লেনের ভেতরে অনেক সময় প্রেশার বেড়ে যায় অথবা কমে যায়। তখন চোখের ভেতরে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জটিলতা হতে পারে। সেটাকে পরিহার করার জন্যই তাঁকে দুই সপ্তাহ ফ্লাই না করার জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন।

হাসপাতালে মির্জা ফখরুলের পাশে তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমসহ কয়েকজন স্বজন আছেন। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিকভাবে মির্জা ফখরুলের চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছেন বলেও জানান ডা.

জাহিদ।

গত ১৪ মে রুটনিন আই হসপিটালে বিএনপি মহাসচিবের বাঁ চোখে অস্ত্রোপচার হয়। এর আগের দিন তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ব্যাংকক যান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল ব এনপ ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

এই মুহূর্তে বিচার, সংস্কার, নির্বাচনই দেশের মানুষের প্রধান স্বার্থ: জোনায়েদ সাকি

এই মুহূর্তে বিচার, সংস্কার, নির্বাচনই দেশের মানুষের প্রধান স্বার্থ উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বর্তমানের বিদ্যমান সংবিধান না বদলালে জনগণের হাতে ক্ষমতা আসবে না। কারণ, সংবিধানের অগণতান্ত্রিকতার সুযোগে একজন ব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত ছিল।

শুক্রবার বিকেলে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলের পর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি এ মন্তব্য করেন। ​নগরের খানপুর মেট্রো হলের সামনে থেকে দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘মাথাল’ নিয়ে মিছিলটি শুরু হয় এবং শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে নিতাইগঞ্জে গিয়ে শেষ হয়।

​সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, শেখ হাসিনা সংবিধানের অগণতান্ত্রিকতার সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচার হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। সংবিধানে অনেক অধিকারের কথা বলা থাকলেও কার্যত এক ব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত ছিল। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ও ক্ষমতা এত দিন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বর্তমান বিদ্যমান সংবিধান না বদলালে জনগণের হাতে ক্ষমতা আসবে না। এ কথা শুরু থেকে বলে আসছে গণসংহতি আন্দোলন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরও আমরা কথা বলা থামাইনি। জুলাই সনদ তৈরিতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছি, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে। এখন দায়িত্ব জনগণের। চোর-লুটেরাদের ভোট দিলে তারা আবার ফাঁকফোকর খুঁজবে।’

জনগণের স্বার্থই গণসংহতি আন্দোলনের স্বার্থ বলে উল্লেখ করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি তাঁর দলের প্রতীক ‘মাথাল’ মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা গত ১৬ বছর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে লড়াই করেছেন, অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁদের ওপর ভরসা রাখুন এবং মাথাল মার্কাকে বিজয়ী করুন।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, শেখ হাসিনা গায়ের জোরে তিনটি নির্বাচন করেছিল। এর মাধ্যমেই তারা সারা দেশে সহিংসতা শুরু করার ম্যান্ডেট পেয়েছে। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যাকে লাশের নদীতে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, ‘এই শামীম ওসমান গং ত্বকীকে হত্যা করেছে। সাত খুন করেছে।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, মহানগর সমন্বয়কারী বিপ্লব খান, নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রানী সরকার, জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম ও মহানগর কমিটির সদস্য ফারহানা মানিক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ