চোখে অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে উঠছেন মির্জা ফখরুল
Published: 17th, May 2025 GMT
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চোখের অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাকে দুই সপ্তাহ পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ব্যাংককের রুটনিন আই হসপিটালের চিকিৎসকরা।
শনিবার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি মহাসচিবের বাঁ চোখে অস্ত্রোপচার পরবর্তী অবস্থা ভালো। এখন তিনি সুস্থ আছেন। আল্লাহর মেহেরবানি এবং সবার দোয়ায় তিনি আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে, দুই সপ্তাহ ফ্লাই করা যাবে না। সে জন্য তার দেশে ফিরতে দেরি হচ্ছে। যখনই চিকিৎসকরা অনুমতি দেবেন, অর্থাৎ প্লেনে আসার মতো অবস্থা যখন হবে তখনই তিনি দেশে ফিরে আসবেন। কারণ চোখের অপারেশনের পর কোনো কোনো সময় প্রেশার কমবেশি হয়। অর্থাৎ প্লেনের ভেতরে অনেক সময় প্রেশার বেড়ে যায় অথবা কমে যায়। তখন চোখের ভেতরে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জটিলতা হতে পারে। সেটাকে পরিহার করার জন্যই তাঁকে দুই সপ্তাহ ফ্লাই না করার জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন।
হাসপাতালে মির্জা ফখরুলের পাশে তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমসহ কয়েকজন স্বজন আছেন। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিকভাবে মির্জা ফখরুলের চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছেন বলেও জানান ডা.
গত ১৪ মে রুটনিন আই হসপিটালে বিএনপি মহাসচিবের বাঁ চোখে অস্ত্রোপচার হয়। এর আগের দিন তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ব্যাংকক যান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল ব এনপ ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
কোমল পানীয় ভেবে কীটনাশক পান, হাসপাতালে দুই বোন
পাবনার ঈশ্বরদীতে কোমল পানীয়ের বোতলে রাখা ঘাস মারার কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে দুই চাচাতো বোন আফসানা খাতুন (৪) ও আহিয়া খাতুন (৩)। তারা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
স্থানীয়রা জানায়, গত শনিবার উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী দালাল পাড়া গ্রামের আসাদুল প্রামানিকের মেয়ে আফসানা খাতুন ও আইনুল প্রামানিকের আহিয়া খাতুন জমিতে ঘাস মারার জন্য কোমল পানীয়ের বোতলে গুলিয়ে রাখা কীটনাশক পান করে। ওই দিন দুপুরের দিকে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি বুঝতে পারেন তাদের বাবা-মা। পরে দুই বোনকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রাজশাহী মেডিকল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে।
আসাদুল প্রামানিক জানান, দুই মেয়ের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দু’জনই অচেতন অবস্থায় বেঁচে আছে। তবে ৪ থেকে ৫ দিন না যাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।