ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে হামাস
Published: 17th, May 2025 GMT
ইসরায়েলের বড় ধরনের আক্রমণ শুরুর কয়েক ঘন্টা পর হামাস জানিয়েছে, তাদের আলোচকরা গাজায় যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে নতুন দফা আলোচনা শুরু করেছেন।
হামাস প্রধানের উপদেষ্টা তাহের আল-নুনু বিবিসিকে জানিয়েছেন, শনিবার দোহায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন দফা আলোচনা শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষের পক্ষ থেকে কোনো পূর্বশর্ত ছিল না এবং সমস্ত বিষয় আলোচনার টেবিলে ছিল।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, হামাস আলোচকরা জিম্মিদের বিষয়ে একটি চুক্তির জন্য কাতারে পরোক্ষ আলোচনায় ফিরে আসছেন।
কাটজ এই পদক্ষেপকে ‘সেই মুহূর্ত পর্যন্ত তারা যে অনড় অবস্থান নিয়েছিল তা থেকে সরে আসা’ বলে অভিহিত করেছেন।
গত সপ্তাহ থেকে ইসরায়েল গাজায় তীব্র হামলা শুরু করেছে। শনিবার তারা হামাসকে পরাজিত করতে এবং গাজায় অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘অপারেশন গিডিয়নস রথ।’
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
শনিবার ভোরে উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক মারওয়ান আল-সুলতান বলেন, “শুক্রবার মধ্যরাত থেকে আমরা ৫৮ জন শহীদ পেয়েছি এবং বিপুল সংখ্যক হতাহত ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। হাসপাতালের ভেতরের পরিস্থিতি ভয়াবহ।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।