আশুলিয়ায় মধ্যরাতে মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা বাসে আগুন
Published: 19th, May 2025 GMT
ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রায় ২০ মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে বাসটির সব আসন পুড়ে গেছে।
গতকাল রোববার রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার আশুলিয়ার ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ডিইপিজেড)–সংলগ্ন এলাকায় নবীনগর থেকে চন্দ্রা মহাসড়কের চন্দ্রামুখী লেনের পাশে দাঁড় করিয়ে (পার্ক) রাখা লব্বাইক পরিবহনের একটি বাসে এ অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল রাতে ডিইপিজেড–সংলগ্ন এলাকায় লাব্বাইক পরিবহনের একটি বাস দাঁড় (পার্ক) করিয়ে রাখা ছিল। রাত পৌনে ১২টার দিকে বাসটিতে আগুন জ্বলতে দেখেন পথচারীরা। পরে তাঁরা ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। রাত ১২টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাসটির চালকের সহযোগী সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গাড়ি রেখে গোসল করতে যাই। যাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই শুনি গাড়িতে আগুন লাগছে। কেউ শত্রুতা করে আগুন ধরাইয়া দিছে৷ গাড়ির জানালার গ্লাসসহ সব আটকানো ছিল। ইঞ্জিন গরম হয়ে যে আগুন ধরবে, সেটাও না। গাড়ি তো এক-দেড় ঘণ্টা ধরে দাঁড় করানো। গাড়িতে কয়েল বা এমন কিছুও জ্বালানো হয় নাই।’
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে পার্ক করে রাখা একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই। পরে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২০ মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসের সব আসন পুড়ে গেছে। আগুন লাগার কারণ তদন্তের আগে বলা সম্ভব নয়। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, কেউ হয়তো সিগারেট বা এমন কিছু ফেলেছিল, যার কারণে আগুন লেগেছে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র একট
এছাড়াও পড়ুন:
‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ চাচাকে ছাড়াতে গিয়ে খুন হলেন তরুণ
মাগুরার সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামে ছুরিকাঘাতে হাসান শেখ (২২) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তাঁর বাবা ও দুই চাচা। গতকাল রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসান শেখ ওই গ্রামের নির্মাণশ্রমিক পাঞ্জু শেখের ছেলে। ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন হাসানের বাবা পাঞ্জু শেখ, চাচা মিজান শেখ ও শিপন শেখ। প্রথমে তাঁদের মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল রাতেই তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলোকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলম মোল্লার ঘরে উঁকি দেওয়ার অভিযোগে রিপন শেখ নামের একজনকে আটক করে এলাকাবাসী। পরিবারের দাবি, রিপন মানসিকভাবে অসুস্থ। তাঁর ভাই মিজান শেখ, শিপন শেখসহ স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আলম মোল্লার ছেলে আল আমিন মোল্লা (২৩) ঘর থেকে ছুরি এনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাসানসহ চারজনকে জখম করেন। তাঁদের মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক হাসান শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত তরুণের চাচা শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘একদম তুচ্ছ কারণে এই হত্যাকাণ্ড। আমাদের এক মানসিক ভারসাম্যহীন ভাইকে আটকে মারধর করছিল। আমরা তাঁকে উদ্ধার করতি গিছিলাম। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে আমার ভাই ভাস্তেদের ওপর হামলা করা হয়। ছেলেটা আমাগের চোখের সামনে মরে গেল। কিছুই করতে পারলাম না।’
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, ‘একজনের ঘরে উঁকি দেওয়ার অভিযোগ থেকে ঘটনার সূত্রপাত। যাঁরা হতাহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের পুরুষ সদস্যরা আহত ব্যক্তিদের নিয়ে ঢাকায় গেছেন। আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’