সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি এলাকায় আজ সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সামছু মিয়া (২৫) উপজেলার রাজাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি আত্মগোপনে আছেন বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরে বিশ্বম্ভরপুর সীমান্তে বিজিবির রাজাপাড়া বিওপির অধীন চিনাকান্দি এলাকায় চারজন বাংলাদেশি ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে চোরাচালানের পণ্য আনতে যান। সীমান্তের ওপারে ভারতে কারফিউ চলছে। তখন বিএসএফের সঙ্গে বাংলাদেশি নাগরিকদের কথা–কাটাকাটি হয়। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে বিএসএফের সদস্যরা গুলি করেন। এতে সামছু মিয়া আহত হন। এ সময় তাঁর বাঁ হাতের কাঁধে আঘাত লাগে। সকালে সামছু মিয়া বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। পরে তিনি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আত্মগোপন করেন।

আজ বেলা ১১টার দিকে বিজিবির সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, যাঁরা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারিসহ টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ স ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড় সীমান্তে যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শুকানি সীমান্তে করতোয়া ও সাও নদীর মোহনা থেকে মানিক হোসেন (৩২) নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা করেছে পুলিশ ও বিজিবি। ওই যুবক দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে পানিতে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দেন স্থানীয়রা। তার মাথায় গুলির ক্ষতচিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। দুপুরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 

মানিক হোসেনের বাড়ি তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার ভোরে সীমান্তে একদল চোরাকারবারি গরু আনতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। এ সময় বাকিরা পালিয়ে গেলেও নিখোঁজ হন মানিকসহ চারজন। তাদের মধ্যে আব্দুল হুদা ওরফে জমির উদ্দিন নামে একজনকে শনিবার সকালে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। তার বিরুদ্ধ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। এখনো আরো দুজন নিখোঁজ আছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। 

দেবনগড় ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আইবুল ইসলাম বলেছেন, স্থানীয় মানুষদের একটি দল সীমান্তে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ওই দিন থেকে চারজন নিখোঁজ ছিলেন। আজ মানিকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া গেছে। ধারণা করছি, বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কেউ অপরাধ করলে তাকে প্রচলিত আইনে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু, নির্বিচারে গুলি করে হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। 

তেঁতুলিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজির হোসেন বলেছেন, খবর পেয়ে আমরা মানিকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। ওই যুবকের মাথায় গুলির আঘাতের চিহ্ন আছে। তার মাথার পেছনে গুলি ঢুকে চোখের পাশ দিয়ে বেড়িয়ে গেছে। আগে তার নিখোঁজের বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। 

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেছেন, তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ভারতের অভ্যন্তরে আটক করে একজনকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে। 

ঢাকা/নাঈম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী দুজনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • যশোরের শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকসহ ৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • দুই ভিক্ষুককে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • করতোয়ায় গুলিবিদ্ধ লাশ, বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু বলে ধারণা স্থানীয়দের
  • শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকসহ তিনজনকে পুশইন
  • পঞ্চগড় সীমান্তে যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার