পরীমনির পরামর্শ ‘ঘুমাও ঘুমাও, ঘুমই উত্তম’
Published: 19th, May 2025 GMT
সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরের মতোই সোচ্চার পরীমনি। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সামাজিক বা পেশাগত নানা বিষয় ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন তিনি। তবে এবার এই চিত্রনায়িকা দিলেন একটি রহস্যময় বার্তা, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
সোমবার (১৯ মে) ফেসবুক পেজে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় একটি স্ট্যাটাসে পরীমনি লেখেন, “কথা হচ্ছে, কোনো কালেই কথা বলতে পারবা না মনু। ঘুমাও ঘুমাও। ঘুমই উত্তম।”
এই সংক্ষিপ্ত বার্তাটি কার উদ্দেশে, কী প্রসঙ্গে— সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি তিনি। তবে এমন এক সময় তিনি কথাটি বলেছেন যখন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মৃত্যুর গুজব ঘিরে তোলপাড়: বর্ষাকে সতর্ক করলেন পরীমণি
সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন পরীমণির গৃহকর্মী
শুক্রবার (১৭ মে) এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন পরীমনি। সেখানে নিজের মেজাজ, আবেগ, আর পাবলিক রিঅ্যাকশনের ব্যাপারে অকপটে কথা বলেন তিনি। পরীমনি বলেন, “আর দশজন মানুষের মতো আমারও রাগ, দুঃখ, কষ্ট, অভিমান হয়। আমি সবকিছু নিতে পারি না। দুম করে রিঅ্যাক্ট করে ফেলি। সেই রিঅ্যাকশনটা মানুষ নিতে পারে না। মানুষ বলে নায়িকা হয়ে এমন করা যাবে না। এই বাউন্ডারির মধ্যে পড়ে গিয়ে আমি এখন জাস্ট অ্যাভয়েড করি।”
নিজেকে আড়াল করতে চাইলেও তাতে সফল হতে পারেন না— এমন হতাশাও প্রকাশ করেন পরীমনি।
“আমি যত চাই ঝামেলাগুলো এড়িয়ে জীবনটা উপভোগ করব, ততই ঝামেলাগুলো আমার ওপর জেঁকে বসে। তাই এখন বিশ্বাস করি, সমস্ত ঝামেলা নিয়েই আমাকে বাঁচতে হবে।”
পরীমনি বলেন, “আমি আসলে এনজয় করা ছেড়ে দিয়েছি। এখন শুধু কাজ এবং দুই বাচ্চাকে নিয়েই থাকতে চাই। কষ্ট নেওয়ার জায়গা আর নেই। এখন একটা জিনিস খুব শিখেছি— অ্যাভয়েড করো এবং সুখে থাকো।”
এদিকে, নতুন বছরের শুরুতে ‘গোলাপ’ নামে একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন পরীমনি। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করবেন জনপ্রিয় অভিনেতা চিত্রনায়ক নিরব।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
চুক্তি হয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি সাপেক্ষে গোপনীয়তার বিষয়টি প্রকাশ করা হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় যে গোপনীয়তার বিষয়টি ছিল, চুক্তি সই হয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি সাপেক্ষে তা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। তিনি বলেন, চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পর শিগগিরই হয়তো যৌথ বিবৃতি আসবে। তথ্য অধিকারের আলোকে এটা করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজার সঙ্গে আলাপচারিতায় বাণিজ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। গোলাম মোর্তোজা ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড পেজে ভিডিওটি প্রকাশ করেছেন। বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, বাণিজ্য চুক্তি কাজে লাগাতে হলে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে এ নিয়ে আত্মসন্তুষ্টির সুযোগ নেই।
গোপনীয়তার বিষয়ে শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, বিষয়টি আন্তর্জাতিক রীতিতে নির্দিষ্ট, শুধু তা–ই নয়, স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক ও বিমা চুক্তিতে উপনীত হয়, তখন এই গোপনীয়তার বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক। এমনকি দুজন ব্যক্তি সম্পদ হস্তান্তর করলেও এ ধরনের বিষয় থাকে।
শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, ‘এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র যেখানে চুক্তির মূল নিয়ামক হিসেবে নিজস্ব নিরাপত্তার কথা বলেছে, সেখানে আলোচনায় গোপনীয়তার শর্ত থাকা অবশ্যম্ভাবী। এর মাধ্যমে দেশের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করার কোনো উপাদান থাকলে আমরা সে চুক্তিতে করব না, সেটাই স্বভাবিক বলে মন্তব্য করেন শেখ বশিরউদ্দিন। নিজস্ব স্বার্থ বিসর্জন দেওয়ার সুযোগ নেই। নিজস্ব স্বার্থ জলাঞ্জলি দিলে সক্ষমতার ঘাটতি হবে। তাতে বাণিজ্য চুক্তি করে লাভ হবে না। স্বল্প মেয়াদে বা দীর্ঘ মেয়াদে যদি আমাদের বাণিজ্য সক্ষমতা হ্রাস পায়, কিংবা আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির কোনো ধরনের ক্ষতি হয়, সেই চুক্তি কোনোভাবেই পালনযোগ্য নয়।’
তবে আলোচনা চলাকালে দুঃখজনকভাবে চুক্তিটি ফাঁস হয়ে গিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন শেখ বশিরউদ্দিন। সেখানে দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু নেই। যেগুলো দেশের স্বার্থবিরোধী হতে পারত, সেখান থেকে বাংলাদেশ পরিষ্কারভাবে বের হয়ে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র মোটেও বিষয়টি উত্থাপন করেনি। এই বিষয়টি একমুখী। গত বছর বোয়িং ১২টি বিমান বানিয়েছে। সুতরাং এই চুক্তি অনুযায়ী তারা হয়তো ২০৩৭ সালে প্রথম বিমান সরবরাহ করতে পারবে। বরং তাদের আগ্রহ ছিল কৃষিপণ্য নিয়ে। বাংলাদেশ প্রতি ১৫ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারের খাদ্যপণ্য আমদানি করে। যুক্তরাষ্ট্রও কৃষিপণ্যের বৃহৎ উৎপাদক। বাংলাদেশ মূলত জ্বালানি ও কৃষিপণ্যের ভিত্তিতে বাণিজ্যঘাটতি কমানোর কথা বলেছে, যেসব পণ্য এমনিতেই বাংলাদেশকে আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলারের মতো। ফলে বাংলাদেশে তুলা, সয়াবিন, ভুট্টা, গমজাতীয় পণ্য আমদানি বাড়িয়ে ২০০ কোটি ডলারের বাণিজ্যঘাটতি কমানোর চেষ্টা করতে পারে।
বোয়িং বিমান খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বিমানের পরিচালনা সক্ষমতা বৃদ্ধি না করে বিমান কিনে তেমন লাভ হবে না। অন্তর্বর্তী সরকার সেই চেষ্টা করছে। তবে বিমানের পক্ষে অতিরিক্ত এক কোটি যাত্রী পরিবহনের সুযোগ আছে। সেই বিবেচনায় ২৫টি বিমান খুব বেশি কিছু নয়। বিমানের পরিচালন সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি আশাবাদী।