সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরের মতোই সোচ্চার পরীমনি। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সামাজিক বা পেশাগত নানা বিষয় ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন তিনি। তবে এবার এই চিত্রনায়িকা দিলেন একটি রহস্যময় বার্তা, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

সোমবার (১৯ মে) ফেসবুক পেজে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় একটি স্ট্যাটাসে পরীমনি লেখেন, “কথা হচ্ছে, কোনো কালেই কথা বলতে পারবা না মনু। ঘুমাও ঘুমাও। ঘুমই উত্তম।”

এই সংক্ষিপ্ত বার্তাটি কার উদ্দেশে, কী প্রসঙ্গে— সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি তিনি। তবে এমন এক সময় তিনি কথাটি বলেছেন যখন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নেওয়া হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

মৃত্যুর গুজব ঘিরে তোলপাড়: বর্ষাকে সতর্ক করলেন পরীমণি

সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন পরীমণির গৃহকর্মী

শুক্রবার (১৭ মে) এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন পরীমনি। সেখানে নিজের মেজাজ, আবেগ, আর পাবলিক রিঅ্যাকশনের ব্যাপারে অকপটে কথা বলেন তিনি। পরীমনি বলেন, “আর দশজন মানুষের মতো আমারও রাগ, দুঃখ, কষ্ট, অভিমান হয়। আমি সবকিছু নিতে পারি না। দুম করে রিঅ্যাক্ট করে ফেলি। সেই রিঅ্যাকশনটা মানুষ নিতে পারে না। মানুষ বলে নায়িকা হয়ে এমন করা যাবে না। এই বাউন্ডারির মধ্যে পড়ে গিয়ে আমি এখন জাস্ট অ্যাভয়েড করি।”

নিজেকে আড়াল করতে চাইলেও তাতে সফল হতে পারেন না— এমন হতাশাও প্রকাশ করেন পরীমনি।

“আমি যত চাই ঝামেলাগুলো এড়িয়ে জীবনটা উপভোগ করব, ততই ঝামেলাগুলো আমার ওপর জেঁকে বসে। তাই এখন বিশ্বাস করি, সমস্ত ঝামেলা নিয়েই আমাকে বাঁচতে হবে।”

পরীমনি বলেন, “আমি আসলে এনজয় করা ছেড়ে দিয়েছি। এখন শুধু কাজ এবং দুই বাচ্চাকে নিয়েই থাকতে চাই। কষ্ট নেওয়ার জায়গা আর নেই। এখন একটা জিনিস খুব শিখেছি— অ্যাভয়েড করো এবং সুখে থাকো।”

এদিকে, নতুন বছরের শুরুতে ‘গোলাপ’ নামে একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন পরীমনি। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করবেন জনপ্রিয় অভিনেতা চিত্রনায়ক নিরব। 

ঢাকা/রাহাত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতি জেলার একটি নদী দখলমুক্তের পরিকল্পনা নিয়েছি: রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রতি জেলায় একটি নদী দখল ও দূষণমুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছি। ৫৩-৫৪ বছরে পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ না করে নদীর ওপর অবকাঠামো গড়ে এবং এক ধরনের জেদ করে যে ক্ষতিটা আমরা করেছি, তা এক-দেড় বছরের সরকারের পক্ষে পুরোটা সমাধান করা সম্ভব না। তবে রূপরেখা করে যাওয়া সম্ভব।
 
সোমবার রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা ও নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আটঘরিয়ায় বড়াল নদী ও স্লুইসগেট পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বড়াল নদী খনন, স্লুইসগেট অপসারণ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় নদী ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

বড়াল নদীকে রক্ষা করতে গেছেন জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এ জন্য বড়াল নদী খনন করতে হবে এবং চারঘাট ও আটঘরিয়ায় বড়াল নদীতে স্লুইসগেটের আর দরকার নেই। সমন্বিত উদ্যোগে নদী খননসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু প্রকল্পের স্বার্থে নদীর প্রবাহে আর বাধা রাখা যাবে না। তিনি দায়িত্বে থাকতেই বড়াল নদীর স্লুইসগেট অপসারণ করা হবে বলেও জানান। 

এদিকে পরিকল্পনা নিলেও প্রতি জেলার একটি নদী সম্পূর্ণ উদ্ধার করা অন্তর্বর্তী সরকারের স্বল্প সময়ে শেষ করা সম্ভব নয় জানিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, এ জন্য আমরা প্রতিটি বিভাগে একটি হিসেবে আটটি, কক্সবাজারের একটি এবং ঢাকার চারটি নদী নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছি। আগামী বাজেটে বরাদ্দ এনে এই কাজ শুরুর চেষ্টা করা হবে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহিনুল হাসান, নাটোর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপার) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ