কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হাসিমারকাটা এলাকায় ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও এক ব্যক্তি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ আরিফ হোসেন (৩৫)। তিনি স্থানীয় আলতাফ হোসেন চৌধুরীর ছেলে। আহত ব্যক্তির নাম খায়ের উদ্দিন (৩৯)। তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা ম্যাগডালিন খকসি বলেন, নিহত আরিফের বুকে ও পেটে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একইভাবে আহত খায়ের উদ্দিনও ছুরিকাহত হয়েছেন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে কৈয়ারবিল স্টেশনে বাজার করতে যান আরিফ হোসেন। বাজার করা শেষে বেলা ১১টার দিকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন খায়ের উদ্দিনও। স্থানীয় রাজা মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছালে এক যুবক সাজ্জাদকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় খায়ের উদ্দিন বাধা দিলে তাঁকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।

নিহত আরিফের ফুফাতো ভাই সাহাদাত হোসেন (৫৫) বলেন, আরিফকে ছুরিকাঘাত করেছেন সাজ্জাদ হোসেন নামের এক যুবক। সাজ্জাদের পরিবারের সঙ্গে আরিফের পরিবারের জমিজমার বিরোধ রয়েছে।

কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, আরিফের পরিবারের সঙ্গে সাজ্জাদের পরিবারের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কয়েক দফায় সেই বিরোধ নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেছেন। তবে সাজ্জাদের পরিবার বারবার জনপ্রতিনিধিদের সিদ্ধান্ত এড়িয়ে গেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে সাজ্জাদ হোসেনের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক। চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ হান্নান বলেন, আরিফকে বুকে দুবার এবং পেটের নাভির পাশে একবার ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ র ক ঘ ত কর র পর ব র র আর ফ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি কোম্পানির হাতে বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নয়: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

চট্টগ্রামের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের ব্যবস্থাপনা দুবাইভিত্তিক ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়ার বিরোধিতা করেছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। এই উদ্যোগের প্রতিবাদে ৩০ মে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে তারা।

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সেন্ট্রাল ওয়ার্কিং টিমের এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভায় হয়। জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে এ সভা হয়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সভায় মিয়ানমারকে মানবিক করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত না নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে সভায় বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব–সম্পর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারকে অবশ্যই জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে আলোচনা করতে হবে।

এ ছাড়া জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিবেচনা করে অবিলম্বে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দুবাইভিত্তিক ডিপি ওয়ার্ল্ড কোম্পানিকে নিউমুরিং টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা প্রদান–সম্পর্কিত সম্পাদিত চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানানো হয় সভায়।

সভায় ভারত কর্তৃক সীমান্তে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাভাষী ভারতীয়দের বাংলাদেশের ভেতরে ‘পুশইন’ করার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীরবতার কঠোর সমালোচনা করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ