বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন
Published: 20th, May 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হাসিমারকাটা এলাকায় ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও এক ব্যক্তি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ আরিফ হোসেন (৩৫)। তিনি স্থানীয় আলতাফ হোসেন চৌধুরীর ছেলে। আহত ব্যক্তির নাম খায়ের উদ্দিন (৩৯)। তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা ম্যাগডালিন খকসি বলেন, নিহত আরিফের বুকে ও পেটে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একইভাবে আহত খায়ের উদ্দিনও ছুরিকাহত হয়েছেন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে কৈয়ারবিল স্টেশনে বাজার করতে যান আরিফ হোসেন। বাজার করা শেষে বেলা ১১টার দিকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন খায়ের উদ্দিনও। স্থানীয় রাজা মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছালে এক যুবক সাজ্জাদকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় খায়ের উদ্দিন বাধা দিলে তাঁকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
নিহত আরিফের ফুফাতো ভাই সাহাদাত হোসেন (৫৫) বলেন, আরিফকে ছুরিকাঘাত করেছেন সাজ্জাদ হোসেন নামের এক যুবক। সাজ্জাদের পরিবারের সঙ্গে আরিফের পরিবারের জমিজমার বিরোধ রয়েছে।
কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, আরিফের পরিবারের সঙ্গে সাজ্জাদের পরিবারের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কয়েক দফায় সেই বিরোধ নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেছেন। তবে সাজ্জাদের পরিবার বারবার জনপ্রতিনিধিদের সিদ্ধান্ত এড়িয়ে গেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে সাজ্জাদ হোসেনের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক। চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ হান্নান বলেন, আরিফকে বুকে দুবার এবং পেটের নাভির পাশে একবার ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ র ক ঘ ত কর র পর ব র র আর ফ র
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।