চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘণ্টা চালু না থাকলে পোশাকশ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষয়ে মালিকেরা দায়িত্ব নেবেন না, এমন মন্তব্য করেছেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান।

কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঈদ আসছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে কাজ হচ্ছে না। আমাদের আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে না। চীন থেকে ১৪ দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে কাঁচামাল আসছে কিন্তু ঢাকায় পণ্য আসতে লাগছে ১৮ দিন। তাহলে আমরা কীভাবে ব্যবসা করব?’

সরকারের উদ্দেশে কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আপনাদের অনেক ইস্যু আছে, সংস্কার করুন, কিন্তু আমাদের কবর দিয়ে নয়, শিল্প ধ্বংস করে নয়।’ তিনি আরও বলেন, ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। আমদানি-রপ্তানি সচল রাখতে হবে। তা না হলে ঈদের আগে পোশাকশ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার দায়িত্ব শিল্পের মালিকেরা নিতে পারবেন না। আমাদের রপ্তানি হবে না। কনটেইনার রাস্তায় পড়ে থাকবে। তাহলে আমরা কোথায় টাকা পাব? কোথা থেকে শ্রমিকের বেতন-ভাতা দেব?

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে সম্মিলিত পরিষদের দলনেতা আবুল কালাম ইশতেহার তুলে ধরেন। ইশতেহার প্রকাশের পর পরিষদের সদস্যরা।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এক লাখ হেক্টর নতুন বনায়ন হয়েছে, বাড়ছেজীববৈচিত্র্য

এখন পর্যন্ত এক লাখ তিন হাজার ৯৬০ হেক্টর বনভূমি পুনঃস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এতে পাহাড়, শালবন ও উপকূলীয় অঞ্চলে দেশীয় উদ্ভিদের বৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বলেও জানান তিনি।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের টেকসই বন ও জীবিকা (এসইউএফএলএল) প্রকল্পের বাস্তবায়ন সহায়তা মিশনের সমাপনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।

উপদেষ্টা বলেন, এসইউএফএলএল প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে বন পুনরুদ্ধার, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বননির্ভর জনগোষ্ঠীর জীবিকা উন্নয়নে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। বন অধিদপ্তরে ড্যাশবোর্ড ব্যবহার করে সাইট-সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা টুল সফলভাবে চালু করা হয়েছে, যা তথ্যভিত্তিক বন পরিকল্পনাকে ত্বরান্বিত করছে।

এক হাজার প্রজাতির উদ্ভিদের লাল তালিকা মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান পরিবেশ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, পাঁচটি সংরক্ষিত অঞ্চলে আক্রমণাত্মক বিদেশি উদ্ভিদ প্রজাতির ব্যবস্থাপনার কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শিল্প খাতে ভূগর্ভস্থ পানি বিনামূল্যে উত্তোলনের প্রথা বন্ধে সরকার চূড়ান্ত নীতিমালা প্রণয়নের পথে এগোচ্ছে। বর্তমানে করপোরেট সেক্টর ভূগর্ভস্থ পানিকে একটি ফ্রি রিসোর্স হিসেবে ব্যবহার করছে, যা পরিবেশ ও পানি নিরাপত্তার জন্য হুমকি। জলবায়ু পরিবর্তনের এই যুগে বিনামূল্যে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন আর চলতে পারে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ